‘তোয়ালের ভাঁজে’ মাদক পাচার, গ্রেফতার তিন

তোয়ালের ভাঁজে অভিনব কায়দায় কিটোমিন জি নামে মাদক পাচারের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। সোমবার সন্ধ্যায় মিরপুরের পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিংয়ে সাততলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেফতার করে র‍্যাব-১–এর একটি দল।

২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে র‍্যাবের পরিচালক (গণমাধ্যম) কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মীর মঞ্জুর মোর্শেদ, মাহমুদুল হাসান ও হাবিবুল্লাহ খান। মীর মঞ্জুর মোর্শেদ লন্ডন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে খামার ব্যবসা করছেন। মাহমুদুল হাসান এলএলবি স্নাতক ডিগ্রিধারী। হাবিবুল্লাহ খান এমবিএ করেছেন। এরা দুজনই একটি ব্যাংকের মার্কেটিং শাখায় কর্মরত। কিন্তু চাকরির আড়ালে মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন তারা।

মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘তাদের আটকের সময় ১৪৫টি বোতলের মধ্যে থাকা ১ হাজার ৪৫০ লিটার জি কিটোমিন, ৩৪টি সাদা তোয়ালে উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি তোয়ালেতে ১০০ গ্রাম জি কিটোমিন স্প্রে করা হয়। তবে স্প্রে করা হতো অভিনব কায়দায়। বাজার থেকে কিটোমিনযুক্ত ইনজেকশন সংগ্রহ করা হতো। এরপর বোতল থেকে কিটোমিন স্টিলের হাঁড়িতে ঢেলে জ্বাল দিয়ে আরও ঘন করা হতো। ঠান্ডা হলে এটি স্প্রে করা হতো তোয়ালের ভাঁজে। শুকিয়ে গেলে তোয়ালেগুলো প্যাকেটে রাখা হতো। এরপর কুরিয়ার সার্ভিসে করে বিদেশে পাচার করা হতো। বিদেশে নিয়ে আবার তোয়ালে থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে কিটোমিন তরল রূপে এনে বিক্রি করা হতো।’

‘মঞ্জুর মোর্শেদের ভাই মাহাদী মঞ্জুর ১৫ বছর ধরে স্পেনে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আরামাডো গঞ্জালেস নামে স্পেনের নাগরিকের পরিচয় হয়। গঞ্জালেস ও মাহাদী মিলে বাংলাদেশ থেকে কিটোমিন স্পেনে পাচারের পরিকল্পনা করে। কিটোমিন অস্ত্রোপচারের আগে রোগীর শরীরে দেওয়া হয়। তবে মাদক হিসেবে এর চাহিদা রয়েছে। এই কিটোমিন পাচারের জন্য চার মাস আগে এ দেশে আসেন গঞ্জালেস ও মাহাদী।’

‘তারা এ দেশের বাজার যাচাই করে তোয়ালেতে করে কিটোমিন পাচারের পদ্ধতি তিনজনকে শিখিয়ে যান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছেন, গত দুমাসে তোয়ালেতে করে কিটোমিনের চারটি চালান স্পেনে পাঠিয়েছেন তারা।’ প্রতিটি তোয়ালেতে দুই লাখ টাকার কিটোমেন পাঠানো হতো বলে জানান তিনি।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২৪ অক্টোবর ২০১৭