ত্রাণ চোরদের তালিকা করছে দুদক

করোনার মহামারিতে ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতির সাথে যারা জড়িত তাদের তালিকা তৈরি করছে দুদক। প্রমাণ মিললেই মামলা করবে সংস্থাটি। এরই মধ্যে ত্রাণ চোর এমন কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়েছে।

অপেক্ষার প্রহর গুনে দুঃশ্চিন্তায় মুষড়ে পড়া এমন নির্বাক নিঃস্ব অসহায় মানুষের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিনই। করোনার আঘাত শুধু মানুষের শরীর মনেই নয়, সময়ের ব্যবধানে ছন্দপতন ঘটেছে, সমাজের বিরাট অংশের মানুষের রুটি-রুজিতেও।

পেটের ক্ষুধায় ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে কোথাও কোথাও হামলে পড়ছেন মানুষ। এই বিপদকে পুঁজি করে কেউ কেউ চুরি করছেন ত্রাণ মেরে খাচ্ছেন মানুষের হক। খাটের তলে, মাটির নিচে, পুকুরে; নানা জায়গায় মিলছে ত্রাণ সামগ্রী। একাজে জড়িত কেউ জনপ্রতিনিধি, আবার কেউ ব্যবসায়ী।

এরইমধ্যে ঢাকা, বগুড়া, মানিকগঞ্জ, বরিশাল ও বরগুনায় মামলা হয়েছে জড়িতদের বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তার হয়েছে কয়েকজন। এই তালিকায় আছে দুইডজনের বেশি ত্রাণ চোরের নাম। যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিদিন খোলা থাকছে দুদকের জেলা কার্যালয়।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানান, ত্রাণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে খোলা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সারাদেশের ২২ কার্যালয়।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, ত্রাণ চোরদের রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে দ্রুত ব্যবস্থা নিলেই কমবে এই লুটপাট।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পিপিআরসি ও বিআইজিডির হিসাবে করোনার প্রভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন, শহরের ৭১ শতাংশ এবং গ্রামের ৫৫ শতাংশ মানুষ। আর চরম দরিদ্র, মাঝারি দরিদ্র এবং দারিদ্র্যসীমার ওপরে থাকা ব্যক্তিদের আয় কমেছে গড়ে ৭০ শতাংশ।