ত্রী-সন্তানসহ সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৩০ এপ্রিল

ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত-আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, তার স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা বেগম ও ছেলে মো. রাকিবুজ্জামানের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন।

এর আগে সোমবার তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

প্রথম মামলায় নুরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে দায়িত্বশীল পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৩১ লাখ ৯৮ হাজার ১৭২ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি নিজ নামে ৩১টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩৩ কোটি ৮১ লাখ ৮০ হাজার ৪৭৮ টাকা জমা এবং মোট ২৮ কোটি ২৬ লাখ ৬৫ হাজার ২০৩ টাকা উত্তোলনসহ সর্বমোট ৬২ কোটি ৮ লাখ ৪৫ হাজার ৬৮১ টাকার সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক লেনদেন করে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে এর হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

দ্বিতীয় মামলায় নুরুজ্জামান আহমেদের স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা বেগম এবং নুরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত-আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ১৬১ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া নুরুজ্জামানের স্ত্রীর নিজ নামে ২৫টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে মোট ২৫ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ২৯৩ টাকা জমা ও ২৪ কোটি ৪৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৬৭ টাকা উত্তোলনসহ সর্বমোট ৫০ কোটি ৪৩ লাখ ১৫ হাজার ৮৬০ টাকার সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক লেনদেন করে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে উহার হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করার অভিযোগ রয়েছে।

তৃতীয় মামলার আসামি তার ছেলে মো. রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে তার পিতা নুরুজ্জামান আহমেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২ কোটি ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। তার নিজ নামে ১০টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১১ কোটি ২৬ হাজার ৩৪ হাজার ৫৭৪ টাকা জমা এবং ১১ কোটি ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৪১১ টাকা উত্তোলনসহ সর্বমোট ২২ কোটি ৪৩ লাখ ২ হাজার ৯২৫ টাকার সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক লেনদেন করে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায়ও নুরুজ্জামান আহমেদকে আসামি করা হয়েছে। (বাসস)