থাইল্যান্ডের গুহায় আটকেপড়া বাকি আট কিশোর এবং তাদের কোচকে উদ্ধারের দ্বিতীয় দিনে আরো চার কিশোরকে বের করে আনা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
এ নিয়ে দুই দিনে মোট আট কিশোরকে উদ্ধার করা হলো। গুহায় এখনো রয়েছে ৪ কিশোর ও তাদের কোচ।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, অভিযানের দ্বিতীয় দিনে আরো চার কিশোরকে গুহা থেকে বের করে আনা হয়েছে। পরে তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে গুহার কাছের ফিল্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন এই উদ্ধার অভিযান রাতভর স্থগিত থাকার পর সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় পুনরায় এই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
রোববার চারজনকে নিরাপদে উদ্ধার করে আনা হয়। গুহার মধ্যে বন্যার পানি অব্যাহত প্রবাহ এবং এয়ার ট্যাং প্রতিস্থাপন করার জন্য উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল।
সোমবার সকাল থেকেই গুহার মুখে থাকা কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্টরা উদ্ধার অভিযান আবারো শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। গুহার মুখে প্রস্তুত রাখা হয় সাতটা অ্যাম্বুলেন্স।
কিশোরদের গুহা থেকে বের করে আনার অভিযানে ৫০ জন বিদেশি এবং থাইল্যান্ড নৌবাহিনীর ৪০ জন ডুবুরি সরাসরি অংশ নিচ্ছেন। তাদেরকে সময়ে বিপরীতে লড়াই করতে হচ্ছে।
কারণ দেশটিতে বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ভারি বর্ষণ শুরু হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এমনকি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ঝড়োবৃষ্টিও হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের এমন পূর্বাভাসের পর গত শনিবার রাতে অস্ট্রেলিয়ার একজন চিকিৎসক কিশোরদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দলটিকে বের করে আনার অভিযান শুরু করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
গত ২৩ জুন নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে এক কিশোরের জন্মদিন উদযাপন করতে ১২ সদস্যের ওই কিশোর ফুটবল দল এবং তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ উত্তরের চিয়াং রাই প্রদেশের ‘থাম লুয়াং’ গুহায় প্রবেশ করে। প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে গুহার ভেতর পানি ঢুকে পড়লে দলটি আটকা পড়ে যায়।
আরএম/