থাই ছয় জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস

গাজা উপত্যকায় হামাসের হাতে অপহৃত ও কয়েক সপ্তাহ ধরে আটক ৬ থাই জিম্মি মুক্তি পাওয়ার সোমবার দেশে ফিরবে। কর্মকর্তারা এ কথা জানান।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায় ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের হামাস যোদ্ধারা সীমান্তে হামলা চালালে ১,২০০ জন নিহত ও প্রায় ২৪০ জনকে অপহরণ করে। ওই হামলার সময় কয়েক হাজার থাই ইসরায়েলে কর্মরত ছিল। যাদের বেশীরভাগ কৃষি খাতে নিয়েজিত ছিল। নিহতদেন বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।
কমপক্ষে ৩২ জন থাই নাগরিককে হামাস অপহরণ করে। ব্যাংককের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও থাই মুসলিম গোষ্ঠী তাদের মুক্তির মধ্যস্থতা করে। খবর এএফপি’র।

সোমবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ২টায় ছয় সপ্তাহ বন্দী থাকার পর মুক্তি পাওয়া ৬ জিম্মি রাজধানীর সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। তাদের মুক্তির পর থেকে তাদেরকে সূস্থতার জন্য চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে

এটি নভেম্বরের শেষে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি অনুসরন করে থাইল্যান্ড থেকে ১৭ জন নাগরিকের প্রত্যাবর্তন করা হয়। ১ ডিসেম্বরে যুদ্ধবিরতিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে অনেক লোককে মুক্তি দেওয়া হয়।
ব্যাঙ্ককের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অক্টোবরে ইসরায়েলে আন্ত:সীমান্ত অভিযানের সময় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে জিম্মিদের মধ্যে আরও নয়জন থাই রয়েছেন।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে, ইসরায়েল ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার জবাবে গাজায় স্থল অভিযানের পাশাপাশি বিমান, কামান ও নৌ হামলার একটি বিশাল অভিযানের মাধ্যমে ১৫ হাজার ৫শ’র ও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

অভিযানের সময় থাইল্যান্ডের ৩০,০০০ নাগরিক ইসরায়েলে ছিল। তাদের বেশিরভাগই উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের দরিদ্র প্রদেশের অভিবাসী শ্রমিক।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যুদ্ধে,ঊনত্রিশ জন থাই নিহত ও ১৯ জন আহত হয়েছে। সরকার ত দের ৮,৫০০ জনেরও বেশি লোককে সরিয়ে নিয়েছে। (বাসস ডেস্ক)