দক্ষিণ এশিয়ায় জনঘনত্ব বেশি, করোনা সংক্রমণ কম

জনসংখ্যা আর জনঘনত্ব বেশি হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার তুলনামূলক অনেকটাই কম।
সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের ‘সাউথ এশিয়া ইকনমিক ফোকাস’ নামের সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। তবে, বিষয়টি নিয়ে গভীর গবেষণা দরকার বলে মত দেয়া হয়েছে এতে।

বিশ্ব মানচিত্রের ৩ শতাংশ ভূখণ্ড জুড়ে দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশ। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা আর আফগানিস্তানে বাস করে গোটা দুনিয়ার ২১ শতাংশ মানুষ। বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সার্কভুক্ত এই দেশগুলোতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের মোট আক্রান্তের ১১ শতাংশ মানুষ। আর মারা গেছে ১ শতাংশেরও কম।

প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা জানান, পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণের গতি কম। কারণ হিসাবে অবশ্য পরীক্ষা কম হওয়ার কথাই বলছেন তারা। আর এই ভূখণ্ডের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা, তা নিয়ে গবেষণা হওয়া দরকার বলে মনে করেন তারা। পাশাপাশি সার্কের এই আটটি দেশে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাতে ভাইরাস কম ছড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ প্রবণতা শেষ পর্যন্ত বহাল থাকলে তা নিয়ে গভীর গবেষণা দাবি রাখে বলেও মত তাদের।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝুঁকি বেশি জেনে শুরু থেকেই তৎপর ছিলো দক্ষিণ এশিয়ার সরকারগুলো। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টির সাথে খাদ্য সহায়তা ও ত্রাণ তৎপরতা চালিয়েছে তারা। অনেক ক্ষেত্রে শিথিল করেছে করের মাত্রা।

দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ভারতে। আর ভুটানে আক্রান্তের সংখ্যা সব চেয়ে কম, মাত্র পাঁচজন। দক্ষিণ এশিয়ায় যাদের পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের মধ্যে পাকিস্তানে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ, বাংলাদেশে ১০ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ও শ্রীলঙ্কায় ৫ দশমিক ১২ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক কম। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার হারও বাড়বে, যেমন এখন বাড়ছে বাংলাদেশে। আবার অনেক বিশ্লেষক বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় পরীক্ষার হার বাড়লেও শনাক্ত হওয়ার হার ইউরোপ ও আমেরিকার মতো নয়।