দক্ষিণ কোরিয়ার তদন্তকারীরা বুধবার বলেছেন, সামরিক আইন ঘোষণা করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ৬ জানুয়ারির মধ্যে কার্যকর করা হবে। অভিশংসিত নেতার সমর্থকরা তার বাসভবনের বাইরে সমাবেশ করেছেন। সিউল থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে সিউলের একটি আদালত। গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করার প্রচেষ্টার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

গত মাসে বেসামরিক শাসনকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টার জন্য আইন প্রণেতাদের দ্বারা প্রেসিডেন্ট ইউনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং বরখাস্ত করা হয়।

সিআইও প্রধান ওহ ডং-উন বুধবার বলেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা সোমবার, ৬ জানুয়ারি সময়সীমার মধ্যে কার্যকর করা হবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, কেউ ইউনকে গ্রেপ্তার করতে কর্তৃপক্ষকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা নিজেরাই বিচারের মুখোমুখি হতে পারে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করাকে প্রতিরোধ করার জন্য বিভিন্ন ব্যারিকেড স্থাপন এবং লোহার গেট লক করার মতো পদক্ষেপকে আমরা সরকারি দায়িত্বের বাধা হিসাবে বিবেচনা করি।

ইউনের আইনি দল গ্রেপ্তারের আদেশটিকে ’অবৈধ এবং বেআইনি’ বলে বর্ণনা করেছে এবং এটি বাতিল করার জন্য একটি নিষেধাজ্ঞার আবেদন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বরখাস্তকৃত নেতার সমর্থকরা ওয়ারেন্টকে বাতিল করার জন্য সমাবেশ করেছেন।

বুধবার, ইউনের বেশিরভাগ স্টাফ, তার চিফ অফ স্টাফ, সিনিয়র সচিব এবং বিশেষ উপদেষ্টারাসহ - সবাই ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি চোই সাং-মোকের কাছে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে।