দলের চারিত্রিক দৃঢ়তায় মুগ্ধ কোহলি

প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থাকার পরও ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১৫৭ রানের অবিশ্বাস্য জয় ভারতের। চতুর্থ টেস্টের এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। ৫০ বছর পর ওভালের এমন জয়কে অভূতপূর্ব বলছেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি জানান, দলের চারিত্রিক দৃঢ়তায় অবাক। পিছিয়ে পড়েও যেভাবে লড়াই করেছে ছেলেরা, তা অসাধারন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটসম্যান-বোলারদের নৈপুন্যেই এমন জয়। তবে দুই ইনিংসে ব্যাট হাতে বোলার শারদুল ঠাকুরের দু’টি হাফ-সেঞ্চুরিই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।

টেস্ট জিততে ইংল্যান্ডকে ৩৬৮ রানের বড় টার্গেট দিয়েছিলো ভারত। জবাবে পঞ্চম ও শেষ দিন ২১০ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা। প্রথম ইনিংসে ভারত ১৯১ রানে অলআউট হয়। নিজেদের ইনিংসে ২৯০ রান তুলে লিড নিয়েছিলো ইংল্যান্ড। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে রোহিত শর্মার সেঞ্চুরির সাথে লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ও বোলারদের দারুন নৈপুন্য ভারতের ম্যাচ জয় নিশ্চিত করে।

দলের এমন পারফরমেন্সে দারুন খুশি ভারতের দলপতি কোহলি। তিনি বলেন, ‘গোটা দলের চারিত্রিক দৃঢ়তা অভূতপূর্ব। প্রায় ১০০ রানে পিছিয়ে থেকেও আমরা কখনও ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাইনি। লর্ডস টেস্টেও একই কথা বলেছিলাম। দলের চারিত্রিক দৃঢ়তায় আমি গর্বিত। ভারত অধিনায়ক হিসেবে আমার দেখা অন্যতম সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। পাটা উইকেট ছিল। প্রথম তিন দিনের মতো আউটফিল্ডে ভেজা ভাব ছিল না। কিন্তু বোলাররা বুদ্ধি করে রিভার্স সুইং আদায় করেছে। দল হিসেবে আমরা জানতাম ম্যাচটা জেতার ক্ষমতা রাখি।’

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে ১২৭ রান করেন ওপেনার রোহিত। বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি রোহিতের। এই ওপেনারকে নিয়ে কোহলি বলেন, ‘রোহিতের ইনিংস অসাধারণ। কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি, সত্যিই অসাধারন।’

নিজের সেঞ্চুরি নিয়ে রোহিত বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়ার পর আমাদের লক্ষ্য ছিল ৩৭০-এর আশপাশে দলের লিড নিয়ে যাওয়া। সেই পরিস্থিতিতে আমি শতরান করেছি। এটা বিশেষ অনুভুতি। আমি শতরান নিয়ে ভাবিনি। দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। সেটা করতে পেরেছি। বিদেশের মাটিতে এটাই আমার প্রথম শতরান। এ কারণে এটাই সেরা।’

তবে কোহলির মতে ব্যাট হাতে শারদুলের দুটি হাফ-সেঞ্চুরি বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ১২৭ রানে সপ্তম উইকেট হারায় ভারত। এরপর শারদুলের ৩৬ বলে ৫৭ রান ভারতকে ১৯১ রান পর্যন্ত বড় অবদান রাখে। দ্বিতীয় ইনিংসেও ৬০ রান করেছেন শারদুল। কোহলি বলেন, ‘শারদুলের হাফ-সেঞ্চুরি ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। চাপের মধ্যে দারুন হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন শারদুল।’

পেসার বুমরাহ’র প্রশংসা করতে ভুল করেননি কোহলি। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের পিচে ২২ ওভারে ২৭ রান দেওয়া ভাবাই যায় না। রিভার্স স্ইুং শুরু হওয়া মাত্রই বুমরাহ আমাকে বলেছিল বলটা দিতে। তারপর একাই দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে, অসাধারন বল করেছে।’ তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান