রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে বাসের ধাক্কার পর তিনজন নিহত হয়েছেন; এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
উপজেলার তারাপুকুর এলাকার রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুঠিয়া থানার ওসি শাকিল জানান।
নিহতদের মধ্যে একজন হলেন ট্রাক চালক জাকির হোসেন (২৮)। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামে। আরেকজন বাসের হেলপার রিজু (২৫)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাসিন্দা।
নিহত আরেকজন ট্রাকের সহকারী বলে পুলিশ জানালেও তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহতদের রাজশাহী মেডিকল কলেজ হাসপাতাল এবং পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরহাদ জানান, তারাপুর এলাকায় বালুভর্তি একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট ০২-০৪৫৬) রাস্তার বাম পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো। এ সময় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের ওই নৈশকোচটি (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৬০-২৭) পেছন থেকে ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী সদর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও পুঠিয়া সদর স্টেশনের তিনটি ইউনিয়ন ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমানে তাদের কর্মীরা গিয়ে উদ্ধার করা শুরু চালাচ্ছে। উদ্ধার কাজে পুঠিয়া থানা পুলিশ এবং পবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরাও অংশ নিয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের সবাই বাসের যাত্রী।
আহতদের মধ্যে চার-পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলেও জানান রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার।
ওসি শাকিল বলেন, রাজশাহী থেকে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ঢাকায় যাচ্ছিল। পথে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বালুবোঝাই একটি ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আহতের উদ্ধার করে বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।