জেলা শহরের গোড়-এ শহীদ বড় ময়দানে জেলা প্রশাসন ও বিসিকের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য নিয়ে ৭ দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয় । ২ মার্চ থেকে গতকাল ৮ মার্চ রাতে এ মেলা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার শুক্রবার রাত ১১ টায় দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের উপজেলা চেয়ারম্যান,ইমদাদ সরকার জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এর পক্ষে মেলাটি সমাপ্তি ঘোষণা করেন ।
গত ২ মার্চ রাত ৮ টায় দিনাজপুর গোড়-এ শহীদ বড় ময়দানে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অতিরক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশীষ চৌধুরী । এসময় জেলা প্রশাসন,বিসিকের জেলা কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম, নারী উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। বিসিক কর্মকর্তা তানভীর হাসান জানান, ৭ দিনব্যাপী মেলায প্রতিদিন সকাল ৯’টা থেকে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত জেলার নারী উদ্যোক্তাদের বিক্রি ও উৎসাহ দিতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গত ৭ দিন এ মেলার সফল কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের নিয়ে এ মেলায় প্রায় দেড়শ বছর পুরনো সতিন মোচড় পিঠাসহ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার নানা ধরনের পিঠার নাম ও স্বাদে ভিড় করেছিলেন মেলায় আগত অনেক দর্শনার্থীরা। বিসিক আয়োজিত উদ্যোক্তা মেলায় আগত দর্শনার্থী ও ক্রেতারা বলছেন, হারিয়ে যাওয়া এমন ব্যতিক্রমী বাহারী নামের পিঠা, খেয়ে তারা তৃপ্তি পেয়েছেন। অনেকে মেলা থেকে পিঠে কিনে বাড়ি নিয়ে গেছেন। সবার জন্য উন্মুক্ত এ মেলা চলছে সকাল ৯ টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ছিল মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উদ্যোক্তাদের পথচলা সুগম করতে এমন উদ্যোগ ছিল আয়োজকদের।
তিনি বলেন , উদ্যোক্তাদের প্রতিভা তুলে ধরে, তাদের উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার লক্ষ্যে চলছে এ ৭ দিনব্যাপী উদ্যোক্তা মেলা।
স্টলগুলোতে মেলা চলাকালে বাহারি নাম ও আঙ্গিকের মুখরোচক পিঠা, খাবার ও কারুকার্য খচিত পণ্য সামগ্রীর মধ্যে হস্তশিল্পের পাটজাত পণ্য, নকশি, শতরঞ্জি, কারুপণ্য, শো-পিচ, প্রসাধনী বিভিন্ন ধরনের পণ্য। এছাড়া আঞ্চলিক খাবার ও পোশাকের সমাহার নজর কেড়েছিল দর্শনার্থীদের। মেলায় ৫০টি স্টলের প্রতিটিতে স্থানীয় অনলাইন ও অফলাইন উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক উদ্যোগের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে এ আয়োজনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে উদ্যোক্তার হাতের তৈরি সতিন মোচড় পিঠা। প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এ পিঠার ব্যতিক্রমী নাম ও স্বাদে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছিল । প্রতিদিন উপচেপড়া ভিড় মেলার বাড়তি আকর্ষণ বাড়িয়েছিল।
উদ্যোক্তা শম্পা দাস মৌ জানান, উদ্যোক্তাদের এসব স্টলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে নিজেদের উৎপাদিত পণ্য এ মেলার মাধ্যমে তুলে ধরতে পেরেছি ।
দিনাজপুর বিসিক জেলা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম ত বলেন, কারুকার্য খচিত পণ্য সামগ্রী ও বাহারি রকমের খাবারের আয়োজন নিয়ে হাজির হওয়া স্টলগুলোতে শুধু কেনাবেচা নয়, প্রতিভা বিকাশ ও শিক্ষণীয় সমাহার ছিল মেলাজুড়ে। আধুনিক ও ডিজিটাল পদ্ধতির এ যুগে আগামী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে উদ্যোক্তারা অনলাইন ব্যবহারে তাদের পণ্য ক্রেতাদের দোরগোড়ায় সহজে পৌঁছে দিতে উৎসাহিত হয়েছে। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত সব ক্ষেত্রেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সফলতা অর্জিত হবে।