দুই জেলায় কালবৈশাখী-বজ্রপাতে ৮ জনের প্রাণহানি

কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে দুই জেলায় নারী-শিশুসহ আটজনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের পাঁচজন ও হবিগঞ্জের তিনজন। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

সুনামগঞ্জ: জেলার জগন্নাথপুরে পাটলী ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের ওপর গাছচাপা পড়ে মা-মেয়ে ও ছেলে নিহত হন। নিহতরা হলেন- সুলেমানপুর গ্রামের হারুন মিয়ার স্ত্রী ৩৫ বছর বয়সী মৌসুমা বেগম, তার চার বছর বয়সী মেয়ে মাহিমা আক্তার ও এক বছরের ছেলে হোসাইন মিয়া।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শশাঙ্ক পাল জানান, জগন্নাথপুরে রাত থেকে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় শুরু হয়। ভোর ৪টার দিকে সুলেমানপুর গ্রামে ঝড়ে হারুন মিয়ার বাড়ির চালের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। এ সময় ঘুমিয়ে থাকা মৌসুমা, মেয়ে মাহিমা ও ছেলে হোসাইন মারা যান।

এছাড়া সকাল ৯টার দিকে শাল্লা উপজেলায় ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- ৪৫ বছর বয়সী মকবুল মিয়া ও তার ১২ বছরের ছেলে মাসুদ মিয়া।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, সকাল ৯টার দিকে শাল্লা সদর উপজেলার নিজ বাড়ির পাশে হাওরে ধান কাটতে বের হন বাবা ও ছেলে। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়।

হবিগঞ্জ: সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে জেলার বানিয়াচং উপজেলার পৃথক জায়গায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়নের এড়ালিয়া গ্রামের সামছুল মিয়ার ছেলে কৃষক আলমগীর মিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়নের জাতুকর্ণপাড়া বড় বান্দের আব্দুর রহমানের মেয়ে ঝুমা বেগম ও একই ইউনিয়নের তাঁতারী মহল্লার আক্কেল আলীর ছেলে হোসাইন।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে বানিয়াচংয়ে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতও হচ্ছিল। এ সময় হাওরে ধান কাটতে গিয়ে আলমগীর মিয়া, পেঁপে পাড়তে গিয়ে ঝুমা বেগম ও ঘাস কাটতে গিয়ে হোসাইন বজ্রাঘাতে মারা যান। খবর-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান