মেট্রোরেলের ডিপো এলাকার পূর্ত কাজ এবং উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভায়াডাক্ট ও নয়টি স্টেশন নির্মাণে দুই বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে তিনটি চুক্তি সই করেছে সরকার।
বুধবার ৩ মে ঢাকার একটি হোটেলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে ইতালিয়ান-থাই ডেভলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড এবং চীনের সিনোহাইড্রো করপোরশন লিমিটেড জেভির সঙ্গে এ চুক্তি হয়েছে।
মেট্রোরেলের প্রকল্প পরিচালক মো. মোফাজ্জেল হোসেন এবং নির্মাণকারী দুই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তোয়াত চাই সুথি রাপা চুক্তিতে সই করেন। প্রকল্পের প্যাকেজ ২, ৩ ও ৪ এর আওতায় এসব স্থাপনা নির্মাণে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।
প্যাকেজ-২ এর চুক্তি মূল্য প্রায় এক হাজার ৫৯৬ কোটি টাকা। এই প্যাকেজের আওতায় ডিপো এলাকার পূর্ত কাজ করা হবে।
এছাড়া প্যাকেজ ৩ ও ৪ এর আওতায় উত্তরা নর্থ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও নয়টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এই দুই প্যাকেজের চুক্তিমূল্য প্রায় চার হাজার ২৩০ কোটি টাকা।
চুক্তি সইয়ের পর সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এই প্রকল্প ৮টি প্যাকেজ বাস্তবায়িত হচ্ছে, প্যাকেজ ২, ৩, ৪ এর চুক্তি স্বাক্ষর হল।
মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা দেবে জাইকা। বাকি পাঁচ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা জোগাবে সরকার।
গত ২৮ এপ্রিল ভূমি অধিগ্রহণের বিশেষ বিধান রেখে মেট্রোরেল সংক্রান্ত আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
এর আগে ২০১২ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) এ প্রকল্প অনুমোদন পায়।
২০১৯ সালে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রতি চার মিনিট পরপর এক হাজার ৮০০ যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রোরেল; ঘণ্টায় চলাচল করবে প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী।
রাস্তার মাঝ বরাবর উপর দিয়ে মোট ২৪ জোড়া মেট্রোরেল চলাচল করবে রাজধানীতে। উত্তরা থেকে শুরু হয়ে মিরপুর-ফার্মগেইট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাবে এই মেট্রো রেল, সময় লাগবে ৪০ মিনিটেরও কম।
প্রতি মেট্রোরেলে ৬টি কোচ থাকবে। প্রতি স্কয়ার মিটারে আটজনের হিসাবে ব্যস্ততম সময়ে ১৮০০ যাত্রী চলাচল করতে পারবে।
আজকের বাজার: আরআর/ ০৩ মে ২০১৭