দুই মামলায় ক্যাসিনো খালেদের বিচার শুরু

বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুই মামলায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ক্যাসিনো খালেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ দুই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
রোববার ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশান থানায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি করে সিআইডি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার গুলশানের বাসায় অভিযান চালায়। ওই বাসা থেকে ছয়টি দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের ১০ হাজার ৫০ ডলার, থাইল্যান্ডের ১০ হাজার ৪৯০ বাথ, ভারতীয় সাড়ে তিন হাজার রুপি, সৌদি আরবের দুই হাজার ৩২১ রিয়াল, মালয়েশিয়ান ৬৫৬ রিঙ্গিত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭৫ দিরহাম ছিল।
অপর দিকে চলতি বছরের শুরুতে মতিঝিল থানায় মাদক আইন ও গুলশান থানার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ‘ক্যাসিনো’ চালানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা। এ সময় তার বাসা থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, ২০১৭ সালের পর নবায়ন না করা একটি শটগান ও ৫৮৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
পরদিন দুপুরে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। একই দিন র‌্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন।
অন্যদিকে মতিঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন র‌্যাবের ওয়ারেন্ট অফিসার চাইলা প্রু মার্মা।