মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট চালুর মাধ্যমে বিশে^ একটি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে রাশিয়া। গত ৬ এবং ৮ ডিসেম্বর যথাক্রমে রোস্তভ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চতুর্থ ইউনিট এবং লেনিনগ্রাদ-২ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটে প্রথম ফুয়েল এসেম্বলি লোড করা হয়।
প্রথম ফুয়েল এসেম্বলি লোড করার অর্থ হচ্ছে ফার্স্ট ক্রিটিকালিটির সূচনা, অন্য অর্থে নিয়ন্ত্রিত পারমাণবিক চেইন রিয়্যাকশনের শুরু। এটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর প্রথম ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যার মাধ্যমে কেন্দ্রটির নির্ভরযোগ্যতা ও নিরাপত্তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। রসাটমের বাংলাদেশ পিআর এজেন্সি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি আরো জানায়, লেনিনগ্রাদ-২ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১নং ইউনিটে স্থাপন করা হয়েছে ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর, যা ফুকুশিমা পরবর্তী সকল নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। সম্প্রতি গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের রূপপুরে যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মূল পর্বের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে সেখানেও এ জাতীয় ২টি রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হবে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক কর্পোরেশন- রসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রসএনার্গোএটম এর পরিচালক আন্দ্রেই পেত্রভ জানান, ৩০দিনের মধ্যেই চুল্লিটি থেকে নিয়ন্ত্রিতভাবে নূন্যতম মাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। এ পর্যায়ে নির্ভরযোগ্যতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও কেন্দ্রের বিভিন্ন অংশে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালনো এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়নের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্রা বাড়ানো হবে।
রসাটমের প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান এএসই গ্রুপ অব কোম্পানিজ এর প্রেসিডেন্ট ভ্যালেরি লিমারেনকা বলেন যে, ‘রাশিয়া হচ্ছে বিশ্বের প্রথম দেশ যে ৩+ প্রজন্মের পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট চালু করতে সক্ষম হয়েছে। নভোভারোনেঝ বিদ্যুৎকেন্দ্রের পর লেনিনগ্রাদ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে এই অত্যাধুনিক ইউনিট চালু করা হলো।’
অন্যদিকে রোস্তভ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চতুর্থ ইউনিটে স্থাপন করা হয়েছে ভিভিইআর-১০০০ রিয়্যাক্টর। এ জাতীয় রিয়্যাক্টর রাশিয়া, ভারত, চীন, বুলগেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিগত অনেক বছর যাবৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছে।
আজকের বাজার:এনএল/ওএফ/এলকে ১২ ডিসেম্বর ২০১৭