অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু আবারও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির না হয়ে দুই মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ মে) ষষ্ঠবারের মতে তাকে দুদকে ডাকা হয়েছিলো। এর আগে গত ৭ মে তাকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিলো। সেদিনও সে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে উপস্থিত না হওয়ায় আজ ১৫ মে তাকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়।
আবদুল হাই বাচ্চুর দুই মাসের সময় না মঞ্জুর করে ১৫ দিনের সময় দিয়ে আগামী ৩০ মে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপপরিচালক শামসুল আলম। একই সঙ্গে ওই সময় হাজির না হলে আইনি ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে দুদকের চিঠিতে।
উল্লেখ, প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর তিন দিনে টানা ৫৬টি মামলা করেন দুদকের অনুসন্ধান দলের সদস্যরা। রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় এসব মামলায় আসামি করা হয় ১৫৬ জনকে। অনিয়মের মাধ্যমে ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এর মধ্যে রাজধানীর গুলশান শাখায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, শান্তিনগর শাখায় ৩৮৭ কোটি টাকা, প্রধান শাখায় প্রায় ২৪৮ কোটি টাকা এবং দিলকুশা শাখায় ১৩০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। অভিযোগের বাকি অংশের অনুসন্ধান দুদকে চলমান।
মামলায় আসামিদের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা আছেন ২৬ জন। বাকি ১৩০ আসামি ঋণগ্রহীতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের মালিক ও সার্ভে প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকার ও ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই একাধিক মামলায় আসামি হয়েছেন। এর মধ্যে ব্যাংকের প্রাক্তন এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে ৪৮টি মামলায়। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া ডিএমডি ফজলুস সোবহান ৪৭টি, কনক কুমার পুরকায়স্থ ২৩টি, মো. সেলিম আটটি, বরখাস্ত হওয়া ডিএমডি এ মোনায়েম খান ৩৫টি মামলার আসামি।
তবে কোনো মামলায় ব্যাংকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের কাউকে আসামি করা হয়নি। এছাড়া বেসিক ব্যাংক সংক্রান্ত বিষয়ে আরো চারটি মামলা করে দুদক।
আজকের বাজার/ এমএইচ