জনমনে বিভ্রান্তিকর তথ্য যেন না ছড়ায়, পাস্তুরিত তরল দুধ নিয়ে এমন প্রতিবেদন ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ না করতে বিএসটিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া সতর্ক করা হয়েছে গণমাধ্যমকেও, যেন কোন আদেশের আগে সংবাদ প্রচার না হয়।
মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
পাস্তুরিত তরল দুধ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের তৈরি প্রতিবেদনটি বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে নিয়মানুযায়ী উপস্থাপন না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সরকার এম আর হাসান (মামুন)। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
গত ৩০ জুন আদালত রোববারের (৭ জুলাই) মধ্যে ঢাবির প্রতিবেদন দাখিল করতে বিএসটিআইকে মৌখিক নির্দেশনা দেন। সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে বিএসটিআইওয়ের আইনজীবী একটি খামের মধ্যে করে ঢাবির প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করতে গেলে আদালত আপত্তি জানান।
এর আগে গত ২৫ জুন বাজারে প্রাপ্ত পাস্তুরিত দুধে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক কিছু পাওয়া যায়নি বলে হাইকোর্টে রিপোর্ট দেয় বিএসটিআই। কিন্তু একইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার এক সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করে, পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। পাস্তুরিত দুধের সব কটিতে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক লেভোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন ও এজিথ্রোমাইসিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া রয়েছে ফরমালিন ও ডিটারজেন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
আজকের বাজার/এমএইচ