দুবাইয়ে স্ত্রী-সন্তান ফেলে যেতে হলো ধাওয়ানকে

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট-ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে পৌঁছেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। তবে বিপত্তিতে পড়েছেন দলটির ওপেনার শিখর ধাওয়ান। এই সফরে পরিবারকে সঙ্গে নিয়েছিলেন। কিন্তু তার স্ত্রী ও সন্তানদের দুবাই এয়ারপোর্টে আটকে দিয়েছে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের কর্তৃপক্ষ। ফলে পরিবারকে সেখানে রেখে দলের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকাগামী বিমানে চাপতে হয়েছে ধাওয়ানকে। এই ঘটনায় বেজায় চটেছেন তিনি। অপেশাদারিত্বের অভিযোগ তুলেছেন তিনি এমিরেটসের বিরুদ্ধে।

জানুয়ারী মাসের ৫ তারিখে কেপটাউন টেস্ট দিয়ে শুরু হবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। এই উদ্দেশ্যে ২৮ ডিসেম্বর এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি প্লেনে দেশটির উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিরাট কোহলিরা। এই সিরিজে ধাওয়ান ছাড়াও নববিবাহিতা স্ত্রী আনুশকা শর্মাকে নিয়ে গেছেন কোহলি। কিন্তু দুবাই এয়ারপোর্টে ট্রানজিটের সময় বিপত্তিতে পড়েছেন ধাওয়ান। তার স্ত্রী আয়েশা ও সন্তানদের জন্মসনদ, পরিচয়পত্রসহ আরো কিছু কাগজ দেখতে চেয়েছিল এমিরেটস। কিন্তু সেগুলো সাথে না থাকায় তাদের প্লেনে চড়তে দেয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার শেষ রাতের দিকে ধাওয়ানসহ ভারতীয় দল কেপ টাউনের হোটেলে পৌঁছেছে। আর তার স্ত্রী-সন্তানেরা দুবাই এয়ারপোর্টে বসে ভারত থেকে কাগজপত্রগুলো আসার অপেক্ষায় ছিল। সেগুলো পৌঁছানোর পরই তারা দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারবেন।

এমিরেটসের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ ধাওয়ান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে লিখেছেন, ‘এটা এমিরেটসের সম্পূর্ণ দায়িত্বহীন এক আচরণ। পরিবার নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পথে ছিলাম। কিন্ত আমায় বলা হলো স্ত্রী ও সন্তানরা দুবাই থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্লাইটে উঠতে পারবে না। এয়ারপোর্টে আমার বাচ্চাদের জন্মসনদ ও অন্যান্য কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিল যা তখন সাথে ছিল না।’

এজন্য কি পরিমাণ কষ্ট পোহাতে হচ্ছে তার পরিবারকে সেটাও আরেকটি পোস্টে লিখেছেন ধাওয়ান, ‘তারা এখন দুবাই এয়ারপোর্টে বসে কাগজপত্র আসার অপেক্ষা করছে। কেন এমিরেটস এমন অবস্থার কথা জানায়নি যেখানে আমরা মুম্বাই থেকে প্লেনে উঠেছিলাম? একজন এমিরেটস কর্মী কোন কারণ ছাড়াই খারাপ ব্যবহার করেছেন।’
আজকের বাজার: সালি / ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭