দু’মাসের আগে চালু হচ্ছেনা এমএনপি

দুই মাসের আগে চালু হচ্ছে না নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুযোগ বা এমএনপি সেবা। এমএনপি চালু করতে আরো দুই মাসের সময় চেয়েছে অপারেটররা। অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মাধ্যমে বিটিআরসি’র কাছে এই আবেদন করা হয়েছে।

অ্যামটব সূত্র জানায়, ১৮০ দিনের মধ্যে সেবাটি চালুর জন্য সময় বেধে দেয় বিটিআরসি। বিটিআরসি’র দেয়া এই শর্তে মার্চেই এমএনপি সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছিলো ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক। সেই অনুযায়ী সব প্রস্তুতিও নিয়েছে কোম্পানিটি। কিন্তু অপারেটরদের বাধায় এই সেবা পেতে আরও অপেক্ষা করতে হবে গ্রাহকদের।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অ্যামটবের মহাসচিব এবং প্রধান নির্বাহী টিআইএম নূরুল কবীর বলেন, ‘আমাদের অপারেটররা এমএনপি চালুর পুরো প্রস্তুতি এখনও শেষ করতে পারেনি।এসব বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে।’

তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমেই সবার সুবিধা-অসুবিধাগুলো বিবেচনা করে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যেন সব পক্ষই লাভবান হয়, গ্রাহকরাও যাতে ভালো সেবা পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সূত্র জানায়, এমএনপি চালু করতে গেলে অপারেটরগুলোকে তাদের এইচএলআর, বিলিং সিস্টেম, আইপি সিস্টেমে পরিবর্তন আনতে হবে। এই পরিবর্তন তাদের জন্য কতটা ইতিবাচক সে বিষয়ে তারা দ্বন্দ্বে পড়েছেন। এসব কারণে তারা শুরু থেকেই ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছেন।

ইনফোজিলিয়নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাবরুর হোসাইন জানান, মার্চের মধ্যেই ইনফোজিলিয়ন এমএনপি সেবা দেয়ার জন্য পুরোপুরো তৈরি হয়ে যাবে। সেবার অধীনে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো সংযুক্ত থাকবে ইনফোজিলিয়নের ক্লিয়ারিং হাউজের সঙ্গে। আর এমএনপি সেবা নিতে আগ্রহী গ্রাহক সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে বলার পর অপারেটরটি এই ক্লিয়ারিং হাউজের মাধ্যমে ডোনার অপারেটরের সঙ্গে সমঝোতা বা তথ্য আদান-প্রদান করবে।

তবে এটি কত সময়ের মধ্যে করা হবে, কত সময় একটা রিকোয়েস্টকে প্রক্রিয়ায় রাখা হবে, কত সময়ে রিপ্লাই না পেলে অটো রিপ্লাই হিসেবে ধরে নেয়া হবে বা তা বাতিল বিবেচনা করা হবে -এসব বিভিন্ন ইস্যু চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।

এমআর/