দুর্গম চরে ছড়িয়ে পড়ছে শিক্ষার আলো

তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকায় বসে দেশের দুর্গম চরাঞ্চলে শিক্ষা দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছে ফ্রেন্ডশিপ স্কুল নামে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্টান। সম্প্রতি রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের এমন সফলতার কথা তুলে ধরেন স্কুলটির উদ্যোক্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘দুর্গম চরাঞ্চলে শিক্ষাব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়ার জন্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করেছে ফ্রেন্ডশিপ। পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে একটা নতুন মাত্রা দিয়েছে। ভবিষ্যতের শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটা মাইলফলক তৈরি হচ্ছে। আমরা নতুন আইসিটি মন্ত্রণালয়ে ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্টারপ্রেইনর নামে একটি উদ্যোগ নিয়েছি। সেখান থেকে সহযোগিতা করব। পাশাপাশি ৭টি ডিজিটাল স্কুলে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব থেকে প্রতিষ্ঠা করব। যেন শহর এবং গ্রামের প্রযুক্তিগত পার্থক্য আরও কমে আসে।
ফ্রেন্ডশিপের উদ্যোক্তারা বলেন, প্রত্যন্ত চর এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করছে ফ্রেন্ডশিপ। এবারের জেএসসি পরীক্ষায় ৭টি স্কুলের পাসের হার শতভাগ। দক্ষ শিক্ষকের অভাব, বিদ্যুৎ বা মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় এ অঞ্চল গুলোত শিক্ষার্থী পাওয়া কঠিন। ২০১৪ সাল থেকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা পদ্ধতি চালু করে ফ্রেন্ডশিপ। সৌরবিদ্যুৎ নির্ভর স্কুলগুলোর প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে থাকে একটি কম্পিউটার এবং দুটি মনিটর স্ক্রিন। এ ছাড়াও থাকে ঢাকার শিক্ষকদের রেকর্ডকৃত ক্লাস। রাজধানীতে সেরা স্কুল থেকে নির্বাচিত শিক্ষকদের সহায়তায় বিভিন্ন পাঠের সিডি তৈরি করা হয়। শ্রেণিকক্ষে সেগুলো পড়ানো হয়। সেখানে সহায়তার জন্য সাহায্যকারী শিক্ষক আছেন।
ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক রুনা খান বলেন, ‘চরের ভেতর নৌকা করে যেতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা লাগে। কে যাবে সেখানে পড়াতে? শিক্ষক কোথায়? বাল্যবিবাহ ঠেকানোসহ নানা সামাজিক কাজে টেকসই শিক্ষাব্যবস্থা হিসেবে ডিজিটাল মডেল ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রতিষ্টানটির পরিচালন কর্মকর্তা আয়েশা তাসিন খান বলেন, ‘স্কুলে আমরা ডিজিটাল সিস্টেম সফলভাবে প্রয়োগ করেছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধ্যাপক সৈয়দা তাহমিনা আক্তার, ফ্রেন্ডশিপের কর্মকর্তা আয়েশা তাসিন খান।
আজকের বাজার: সালি / ৩১ জানুয়ারি ২০১৮