বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, এম.পি. বলেছেন, দেশের সর্বস্তরে দুর্নীতি দূরীকরণ বর্তমান সরকারের জন্য একটি অগ্রাধিকারভিত্তিক কাজ। তিনি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি দূরীকরণে র্সাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। এছাড়া ব্যবসা সহজীকরণের ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রনালয় অতি শীঘ্রই বিডা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সাথে একযোগে কাজ করবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনার জন্য তিনি আইবিএফবি-কে অতি শীঘ্র একটি দিনব্যাপী সেমিনার আয়োজনের অনুরোধ জানান যেখানে তিনি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে অংশগ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দেন। গতকাল বৃহষ্পতিবার ১৪ ফেব্রুয়ারী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইবিএফবি’র পক্ষে সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন রশিদ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও উন্নয়ন ও প্রসারে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য দেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ একান্ত জরুরী। বিশ^ ব্যাংক গ্রুপের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৭৬তম স্থান অর্জন করেছে যা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলির মধ্যে সর্বনি¤œ। এজন্য ব্যবসা সহজীকরণ বা ঊধংব ড়ভ উড়রহম ইঁংরহবংং এর ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে তিনি বাণিজ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। এছাড়া স্থানীয় বিনিয়োগ ও সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) সহ সকল প্রকার ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ক আইনগত জটিলতাসমূহ দূর করা, স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি বৈদেশিক বাজার সম্প্রসারণে বিভিন্ন দেশে আমাদের দূতাবাসমূহের ও রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এর সক্ষমতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির কথা বলেন। শিল্প ও পণ্য এবং বাণিজ্যের বহুমুখীকরণের জন্য তিনি তৈরী পোশাক শিল্পের পাশাপাশি বিভিন্ন অপ্রচলিত পণ্য এবং হালকা/ভারী প্রকৌশল শিল্প ও ইলেকট্রনিক্স শিল্প ইত্যাদি খাতে উৎপাদন ও রপ্তানীতে উৎসাহ প্রদান করা, সরকারী উদ্যোগে প্রতি বছর সুনির্দিষ্ট পণ্যের রপ্তানী বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা, সকল প্রকার মেলার জন্য অতি শীঘ্রই একটি নির্দিষ্ট ও স্থায়ী স্থান নির্ধারণ করার দাবী জানান। এছাড়া ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমিয়ে একক অংকে নামিয়ে এনে একে বাণিজ্য বান্ধব করে তোলা, শিল্পের বহুমুখীকরণের জন্য অন্যান্য উৎপাদনমুখী শিল্প যেমনঃ জাহাজ নির্মাণ শিল্প, মোটরগাড়ি ও মোটর সাইকেল উৎপাদন শিল্প, ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণ শিল্প, হালকা ও ভারী ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইলেকট্রনিক্স শিল্প ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ এবং এসব খাতের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও রপ্তানীতে সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা ও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রণয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে আইবিফবি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপকি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, প্রাক্তন সভাপতি ও রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, সহ-সভাপতি এম. এস. সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি (অর্থ) লুৎফুন্নিসা সৌদিয়া খান, পরিচালক ও প্রাক্তন ট্যারিফ কমিশন চেয়ারম্যান ডঃ মজিবুর রহমান, পরিচালক ও প্রাক্তন রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান ডঃ আব্দুল মজিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।