দেশজুড়ে ‘শান্তিপূর্ণ’ বিক্ষোভের ডাক দিলেন ইমরান খান

আজ রবিবার (৩ এপ্রিল) ইমরান খানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছ। এরই মাঝে গতকাল শনিবার (২ এপ্রিল) দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিলেন তিনি।

পাকিস্থানি গণমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন সরকারকে উৎখাতে যে বিদেশি চক্রান্ত চলছে তার বিরুদ্ধে ইমরান খান দেশজুড়ে তরুণদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন।

যুবকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইমরান খান বলেন, এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আপনারা আওয়াজ তুলুন এবং প্রতিবাদ করুন। এটি আমার জন্য নয়, দেশের ভবিষ্যতের জন্য।

ইমরান খান তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, আপনার টেলিফোন কল নেওয়ার আগে, আমি আমার দেশের জনগণের সাথে পাঁচ মিনিট কথা বলতে চাই কারণ এই মুহূর্তে পাকিস্তান একটি সংকটময় পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এটি দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি যুদ্ধ।

দেশের রাজনৈতিক সংকট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের রাজনীতি আজ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে জাতিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চান। যে সমাজ সততা এবং ন্যায়বিচারের সাথে দাঁড়ায় সে একটি নতুন জীবন নেয়। কিন্তু একটি সমাজ যখন নিরপেক্ষ হয়, তখন সে খারাপকে সমর্থন করতে শুরু করে।

ইমরান খান দাবি করে আসছেন, তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে একটি বিদেশি শক্তি চক্রান্ত করে আসছে। নাম উল্লেখ না করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে এই অভিযোগ ইঙ্গিত করেছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইমরান খান। সেখানে তিনি হুমকি দেওয়া চিঠির নেপথ্যে মুখ ফসকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম বলেন। তবে দ্রুত তা সংশোধন করেন।

এদিকে, ইসলামাবাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে মার্কিন দূতাবাসের বিরুদ্ধে কথা বলার একদিন পরেই পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের কথা বলেছেন। শনিবার তিনি এক গণমাধ্যমকে বলেন, তার দেশ ওয়াশিংটনের সাথে সম্পর্ক প্রসারিত করতে চায়।

কামার জাভেদ বাজওয়া বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। চীন পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর তার সেই সম্পর্কের প্রমাণ। তাছাড়া ঐতিহাসিক ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। এখনও যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার। আমরা যেমন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সাথে সমান ভাবে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। তেমন ভাবে যুক্তরাজ্য, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং জাপানও আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।” খবর-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান