দেশের ফুটবলেন নতুন কোচ জেমি ডে

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জেমি ডে। ব্রিটিশ এই কোচের নিয়োগের বিষয়ে আগেই আভাস দিয়েছিলেন ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৭ মে) তার নিয়োগের ব্যাপারে চূড়ান্ত ঘোষণা আসে।

৩৮ বছর বয়সী জেমির অভিজ্ঞতার কোন কমতি নেই। বরং বলা যায় স্বয়ংসম্পূর্ণই। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব শিগগিরই তার সঙ্গে চুক্তিতে যাচ্ছে বাফুফে।

উইকিপিডিয়া জেমি ডে সম্পর্কে জানাচ্ছে, খুব অল্প বয়সেই ইংল্যান্ডের লিলস হল ন্যাশনাল স্পোর্টস সেন্টারে যোগ দেন জেমি। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৮ পর্যায়ের ফুটবল খেলেন এবং আর্সেনালের সঙ্গে পেশাদারি চুক্তিও করেন।

পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চির এই মিডফিল্ডার ইংল্যান্ডের জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৬, ১৭ ও ১৮ দলে খেলেছেন। ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত গোল করেছেন ২৬টি। ১৯৯৭-৯৯ সালে আর্সেনালে থাকলেও একাদশের বাইরে ছিলেন। পরবর্তীতে বর্নমাউথে গিয়ে ২০ ম্যাচে এক গোল পান। ক্যারিয়ারে ডোভার অ্যাথলেটিক, ওয়েলিং ইউনাইটেডের মতো দলে খেলেছেন।

তবে ইনজুরির জন্য ফুটবল ক্যারিয়ারটাকে খুব বেশিদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি ১৯৭৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয়া এই কোচ। তাই কোচিং পেশাকেই বেছে নেন। বনে যান আর্সেনাল এফসি এবং শার্লটন অ্যাথলেটিকের যুব দলের কোচ।

কোচিং ক্যারিয়ারে ইডি হাউ এবং আর্সেন ওয়েঙ্গারের সঙ্গেও কাটিয়েছেন। উয়েফা এ-লাইন্সে করে ২০০৯ সালে সিনিয়র কোচ হন। ২০১৩ সালে কনফারেন্স সাউথ ক্লাবকে শিরোপা এনে দেন এবং দলটিকে প্রিমিয়ারে তুলেন। পরবর্তীতে ২০১২-১৩ মৌসুমে গিলিংহ্যাম এফসির মতো দলে প্রথমবার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পান। সম্প্রতি সহকারী ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন ব্যারো এএফসিতে।

ম্যানেজার হিসেবে পরিসংখ্যানও খুব একটা খারাপ নয় জেমির। ২০০৯ সালে ওয়েলিং ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে ২৪৫ ম্যাচের ১১৭টিতে জয়, ৭১টিতে ড্র করলেও হেরেছেন ৫৭ ম্যাচে। ২০১৪ সাল থেকে ’১৫ পর্যন্ত এবসফ্লিট ইউনাইটেডে ২৫ ম্যাচে ১০ জয়, পাঁচটিতে ড্র করলেও হেরেছেন ১০টিতে।

২০১৬ সালে এক বছরে ব্রেনট্রি টাউনে ১২টি ম্যাচে ম্যানেজার হিসেবে ছিলেন। যেখানে তার সাফল্য দু’জয়, তিন ড্র ও সাত ম্যাচে হার। পরের বছর ফের ওয়েলিং ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে শতভাগ সাফল্য পান জেমি। ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন। ক্যারিয়ারে তার সাফল্যের হার ৪৬.৮৮ ভাগ।

রাসেল/