পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বেশী ভ্রমণ করে বেড়ায় একজন সাইক্লিস্ট

পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বেশী ভ্রমণ করে বেড়ায় একজন সাইক্লিস্ট। এ শিল্পে যদি সহজ ও সাশ্রয়ী নিরাপদ সাইক্লিং অন্তর্ভুক্তি হলে, বিশ্ব দরবারে দ্রুত পর্যটন প্রবৃদ্ধি অর্জন! পরিচিত হবে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ। এ.আই.টুববুস। এদেশ আজ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে দ্রুত বর্ধিত অর্থনীতির একটি দেশ। অনেক আগেই ৬ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ। মহামারীর প্রভাব দীর্ঘতর হওয়া, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এবং পুনরায় লকডাউন ঘোষণার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে শ্লথগতি বিরাজমান থাকায় আগামী অর্থবছরে দেশের অর্থনীতির পরিসর ৭ দশমিক ২ শতাংশের মতো বাড়বে বলে সরকার আশা করছে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। ধীর গতিতে হলেও এই শিল্পের উন্নয়ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিগত কয়েক বছরের ধারাবাহিক অগ্রযাত্রায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার কারণে পর্যটন শিল্পের এই অগ্রগতি। ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কমপেটেটিভনেস রিপোর্ট-এ যা ২০১৭ সালে ছিল ১২৫তম। সুতরাং এর সঙ্গে জড়িত মূলত সাহায্য। এলডিসি জাতিসংঘের তালিকায় আছে।

এর ফলে এই দেশগুলো উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ থেকে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাজার-সুবিধা পেয়ে থাকে। সুতরাং এর সঙ্গে জড়িত নানা সুযোগ সুবিধা রয়েছে। আমরা মধ্যম দেশের আয় উপাধি পেয়েছি এবং আমরা চাই এটিকে আন্তর্জাতিকভাবে বাণিজ্যিক সুযোগ সুযোগ সুবিধা তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। করোনায় মানুষের আয় কমে যাওয়ায় বিনোদন ও ভ্রমণের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে, এমনকি ভ্রমণ পরিকল্পনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি বর্তমান পর্যটন শিল্প বাঁচাতে, এ সংকট ও প্রভাব স্বল্প সময়ে হ্রাস করতে এবং পর্যটন শিল্প আগের অবস্থায় ফিরে আনতে টুরিস্ট সাইক্লিং সেবার কোন বিকল্প নেই। পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বেশী ভ্রমণ করে বেড়ায় একজন সাইক্লিস্ট।এর অন্যতম কারণ সহজ ও সাশ্রয়ী নিরাপদ ভ্রমণে তারুণ্য। এ মাধ্যমে যে আনন্দ উপভোগ তৈরি করার সুযোগ পেয়ে থাকেন,তা অন্যকোন মাধ্যমে স্বল্প সময়ে সাচ্ছন্দ্য ও সন্তোষ প্রকাশের সামান্য হলেও বিশাল স্মৃতিচারণে অনুধাবিত হচ্ছে দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি শিল্প বহিঃপ্রকাশে অনন্য ভূমিকায় সাইক্লিং বহি বিশ্বে অবতীর্ণ হয়েছে।কথায় আছে, যত প্রচার- ততোই প্রসার! আমাদের পর্যটন শিল্পে সাইক্লিং তেমন কোন প্রচারণা দৃষ্টিনন্দন করতে দেখা যায় না,তরুণ সাইক্লিস্টরা সপ্তাহের ছুটি বা বিভিন্ন দিবসের ছুটির দিন গুলোতে দলবেঁধে যখন ভ্রমণ করতে যায়, ঝাকে ঝাকে আকাশের পাখি দেখা ভুলে মানুষ সাইক্লিস্টদের দেখে অনুপ্রাণিত হয় ভ্রমনে।

করোনা মহামারিতে গণপরিবহন এড়িয়ে সাইক্লিং গুরুত্ব বাড়ার কারণে ভ্রমণের গতি তরান্বিত করতে বিডি টুরিস্ট সাইক্লিং সেবা আমরা চালু করেছি। স্বল্প সময়ে, স্বল্প আয়ের মানুষ, কম খরচে নিরাপদ ভ্রমণে,ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এগিয়ে যাচ্ছে নিজস্ব উদ্যোগে। করোনায় মানুষের আয় কমে যাওয়ায় বিনোদন ও ভ্রমণের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে, এমনকি ভ্রমণ পরিকল্পনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি বর্তমান পর্যটন শিল্প বাঁচাতে বাজেটে অধিক গুরুত্ব এ সংকট ও প্রভাব যদিও স্বল্প সময়ে হ্রাস করতে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে অনান্য বিষয়ের মত পর্যটন শিল্পে টুরিস্ট সাইক্লিং সেবা অন্তর্ভুক্তি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আর্থিক প্রযুক্তির বর্ধিত ও বহুমাত্রিক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অন্তর্ক্তুক্তিমূলক উন্নয়ন সূচকে শক্ত অবস্থান তৈরিতে পদ্ধতিগত পরিবর্তন ঘটিলে ভবিষ্যতে ‘ দ্রুত পর্যটন প্রবৃদ্ধি অর্জনের আগের অবস্থায় ফিরে আসতে দে-শ ব্যাপী সাইক্লিং অন্তর্ভুক্তিমূলক তারুণ্যে উৎসাহিত তৈরি করা যায়, যেভাবে বিগত বিশ্ব পর্যটন দিবসে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব মােঃ মাহাবুব আলী সাইকেল চালিয়ে তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন। এতে পর্যটন শিল্পের বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং শিল্প খাতে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকারে গঠিত হয় টুরিস্ট সাইক্লিং সেবা ও পর্যটন শিল্পে উন্নয়নের ম্যাজিক এবং দ্রুত পর্যটন প্রবৃদ্ধি অর্জনে তারুণ্যেকে যদি সাইক্লিং উৎসাহিত করা যায়, এ শিল্পে সহজ ও সাশ্রয়ী নিরাপদ ভ্রমণ অন্তর্ভুক্তি হলে বিশ্ব দরবারে পরিচিত হবে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ।

বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২১ কে সামনে রেখে “নিরাপদ ভ্রমণ করুন,স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।এ স্লোগানে সাইকেল চালিয়ে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে ট্যুরিস্ট সচেতনতার প্রচারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট সাইক্লিস্ট ২৪ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার,সকাল ১০.৩০মিনিট,জাতীয় জাদুঘর প্রঙ্গণে এক মহতি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত ও সরকারের কাছে দাবী তুলে ধরা হয়।

সুপারিশ সমূহঃ
১. সাইকেল নেটওয়ার্ট তৈরি করা। যেমন- বাসা থেকে কর্ম স্থান বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত করতে হবে।
২. সাইকেল বান্ধব অবকাঠামো তৈরি।
৩. সাইকেল আরোহীদের আরো সচেতনভাবে সাইকেল চালানোর জন্য সর্তক করা এবং নিয়ম মেনে সাইকেল চালাতে উৎসাহিত করা।
৪. সাইকেল লেন ব্যবহার করার প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি করা।
৫. পরিবেশবান্ধব এই বাহনটি ব্যবহারের সুবিধা নিয়ে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাইক্লিং এর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
৬. দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য নিরাপদ সড়ক ও সাইকেল লেনের ব্যবস্থা করা।
৭. যে স্বল্প পরিমাণ সাইকেল লেন আছে তা দখলমুক্ত করে নিরাপদ সাইক্লিং করার নিশ্চয়তা প্রদান করা।
৮. পারিবারিকভাবে সন্তানকে সাইকেল চালানোয় উৎসাহিত করার জন্য জনমত গড়ে তোলা
৯.দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সাইকেল পার্কিংসুব্যবস্থা রাখতে হবে
১০. দেশী-বিদেশী ট্যুরিস্ট সাইক্লিস্টদের সরকারি সুযোগ সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত করা করতে হবে। আমিনুল ইসলাম টুববুস, প্রধান সমন্বয়ক বিডি টুরিস্ট সাইক্লিস্ট ও সভাপতি,বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন।