দেশের সেরা রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলো

প্রাত্যহিক অফিস, কর্মক্ষেত্র বা কলেজে যেতে আপনি যানবাহনে উঠার লড়াই নিশ্চয় আপনি এড়িয়ে যেতে চান। আর গণপরিবহনে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীদের ভিড় ঠেলা বা সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলকের সাথে ভাড়া নিয়ে দর কষাকষি দিনের শুরুতেই আপনার মেজাজ খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেই সাথে দুর্ঘটনা, হয়রানি ও পকেটমারের মতো সাধারণ ঝুঁকির পাশাপাশি গণপরিবহনগুলোতে এখন আছে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি। এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত পরিবহনের ব্যয় মেটানো যাদের জন্য কষ্টসাধ্য তাদের জন্য অন-ডিমান্ড রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলো স্বস্তির বার্তা নিয়ে আসছে। চলুন জেনে নেয়া যাক দেশের কোন কোন রাইড শেয়ারিং অ্যাপ আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

উবার

স্মার্টফোনের অ্যাপ-ভিত্তিক ট্যাক্সি সেবার আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক রাইড শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন উবার ২০১৭ সালে বাংলাদেশে তাদের যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে, দেশের বড় দুই শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামে উবারের রাইড-শেয়ারিং সেবা পাওয়া যাচ্ছে। উবারের নিবন্ধ প্রক্রিয়াও ঝামেলা-মুক্ত। এ জন্য আপনাকে প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে উবার অ্যাপটি ডাউনলোড এবং আপনার নাম, মোবাইল নম্বর ও ইমেল আইডি দিয়ে সাইন আপ করতে হবে।

নিবন্ধন করা শেষে আপনার মোবাইলে পাঠানো যাচাইকরণ কোড ও পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করুন। উবারের মাধ্যমে যাতায়াত করার জন্য আপনাকে পিকআপ পয়েন্ট ও গন্তব্য অবস্থান উভয়ই দিতে হবে। তারপরে অ্যাপটিতে থাকা সিস্টেম আপনাকে ভ্রমণের আনুমানিক ভাড়া দেখাবে। নিশ্চিত হওয়ার পরে, আপনি নিকটতম উবার চালকের কাছ থেকে কল পাবেন। তিনি আপনার সঠিক পিকআপ অবস্থান জেনে সেখান থেকে আপনাকে গাড়িতে তুলে নেবে এবং গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেবেন।

উবার অ্যাপের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিংয়ের জন্য অনুরোধ পাঠানোর সময় গাড়ি, মাইক্রোবাস, মোটরবাইক বা স্কুটারের মধ্য থেকে আপনার পছন্দের যানটি বেছে নিতে পারবেন। আর কী চান? এছাড়া ‘প্রমো কোডের’ মাধ্যমে বিভিন্ন সময় রাইডের ওপর ছাড় দিয়ে থাকে উবার।

পাঠাও

২০১৫ সালের মে মাসে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘পাঠাও’ দেশের প্রথম রাইড শেয়ারিং কোম্পানি হিসেবে সরকারের তালিকাভুক্ত হয়। তিন স্বপ্নদর্শী যুবক ফাহিম সালেহ, সিফাত আদনান এবং হুসেন ইলিয়াস প্রতিষ্ঠিত ট্রেন্ড-সেটার স্টার্টআপটির প্রধান অফিস রাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত।

পাঠাও বর্তমানে দেশের তিনটি বড় শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে রাইড শেয়ারিং সেবা দিচ্ছে। সারা দেশে পাঠাওয়ের ২০ লাখেরও বেশি নিবন্ধিত যানবাহন আছে। রাইড শেয়ারিং সেবার পাশাপাশি কুরিয়ার সার্ভিস, খাবার বিতরণ, ই-বাণিজ্য সেবাও দিয়ে যাচ্ছে পাঠাও।