এখনও দেশের ২২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র

এখনও দেশের ২২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। সে হিসাবে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে দেশের তিন কোটি মানুষ। এটা মোটেও সন্তোষজনক নয়। এ হার আরও কমিয়ে এনে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশকে দারিদ্র মুক্ত করা হবে।

২৯ অক্টোবর রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘উন্নয়ন মেলা-২০১৭’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ৬ দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ এলাকা এখন উন্নত। গ্রাম ও শহরের মধ্যে এখন কোনো পার্থক্য নেই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগসহ সবক্ষেত্রে মানুষ সমান সুফল ভোগ করছে।

তিনি বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়তে জাতিসংঘ ২০৩০ সালের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে; বাংলাদেশে তার বেশিরভাগই ২০২৪ সালের মধ্যে অর্জন করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করছে।

মুহিত বলেন, দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকারের সেই পদক্ষেপগুলোকে তাদের উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে আরও বেগবান করে তুলছে পিকেএসএফ।

পিকেএসএফের এ উন্নয়ন মেলাকে স্বাগত জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, আগামীতে এই কর্মকাণ্ড একটি প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পাবে বলে আশা করছি। সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পিকেএসএফ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। টেকসই উন্নয়নে পিকেএসএফ সরকারের সহায়ক ভূমিকায় কাজ করছে।

তিনি বলেন, উন্নয়ন সাধনে সরকারকে গণমুখী হতে হবে। সরকার গণমুখী না হলে কোনো সংস্থার একার পক্ষে উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। আর বর্তমান সরকার সেটিই করে যাচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এক রেখায় আনতে পিকেএসএফকে কাজ করার আহ্বান জানান মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে জনমত সৃষ্টি করতে হবে।

পিকেএসএফ এর সভাপতি ড.কাজী খলিকুজ্জানামানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম। এছাড়া সচিব ও কর্মকর্তারাসহ সারাদেশ থেকে আসা পিকেএসএফের উদ্যোক্তা ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।

উন্নয়নে বিষেশ অবদান রাখার জন্য অনুষ্ঠানে ফকীর আব্দুল জব্বার ও আব্দুল হাসিব খানকে সম্মানা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

৬ দিনব্যাপী মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মেলায় অংশ নিয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণা ও আইটি, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৯০টি প্রতিষ্ঠানের ১৩৩টি স্টল।

আজকের বাজার : এমএম / ২৯ অক্টোবর ২০১৭