দেশে করোনা আক্রান্ত ৩ হাজার ৩৮২ ও মৃতের সংখ্যা ১১০ জন

দেশে বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ হাজার ৩৮২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৪৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গতকালের চেয়ে আজ আক্রান্ত কমেছে ৫৮ জন। গতকাল আক্রান্ত হয়েছিল ৪৯২ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আরও ৯ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১০ জনে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন আরো ২ জন। এ পর্যন্তসুস্থ হয়েছেন ৮৭ জন।
দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ১২৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৯৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৫৭৮টি। নতুন যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে আরও ৪৩৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ নমুনা সংগ্রহ বেড়েছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ এবং পরীক্ষা বেড়েছে ৭ শতাংশ।’
বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনার বিস্তার রোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। বয়স বিশ্লেসণে দেখা গেছে, এদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৩ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের ৩ জন এবং ৪০ থেকে ৫০ বছরের ৩ জন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৮৯ জনকে। বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ৭৬৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫৭৯ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টোইনে নেয়া হয়েছে ৪ হাজার ১৬৮ জনকে। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৪ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ১ হাজার ৪২৪ জনকে। এ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৭ হাজার ১২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৫৯২ জনকে এবং এ পর্যন্ত নেয়া হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৮০৬ জনকে। বর্তমানে মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৭৭ হাজার ৯৩১ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারন্টাইনে আছেন ৫ হাজার ৮৭৪ জন। মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৮৩ হাজার ৮০২ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ১৯২ জন।
তিনি বলেন, যারা কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবেন, তবে তাদের এ মুহূর্তে ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।