দেশে হুয়াওয়ের চতুর্থ আইসিটি অ্যাকাডেমি যবিপ্রবিতে

আইসিটি অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। এই আইসিটি অ্যাকাডেমির উদ্দেশ্য হলো, শিক্ষার্থীদের মাঝে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক জ্ঞান, দক্ষতা বিকাশ এবং দেশে একটি আইসিটি ইকোসিস্টেম তৈরি করা। আজ (১২ অক্টোবর) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যালয়ের প্রধানগণ সহ হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এই আইসিটি একাডেমিটি শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান ও ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিলে বুয়েটে আইসিটি অ্যাকাডেমি চালু করে হুয়াওয়ে। এই বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে আইসিটি অ্যাকাডেমি স্থাপনের লক্ষ্যে যথাক্রমে কুয়েট ও রুয়েটের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ে এর নিজস্ব লার্নিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের অনলাইন প্রশিক্ষণ সামগ্রী এবং বিভিন্ন ধরনের কোর্স প্রদান করবে। পাশাপাশি, এ অ্যাকাডেমি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হুয়াওয়ে কর্তৃক প্রত্যায়িত প্রশিক্ষক হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দিবে। প্রশিক্ষণ লাভের পর বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এই শিক্ষকরা আইসিটি অ্যাকাডেমিতে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিবেন। এই বিষয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, “আইসিটি খাত আমাদের দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে তরুণ প্রজন্মই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। হুয়াওয়ের সহযোগিতায় নির্মিতব্য এই আইসিটি অ্যাকাডেমির দ্বারা আমরা আমাদের আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আইসিটি বিষয়ক দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ভবিষ্যত উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারবো বলে আমি প্রত্যাশা করছি। আমাদের দেশের তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে ও দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিকাশে অবদান রাখতে এ ধরনের প্রোগ্রাম চালু করার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।” এ প্রসঙ্গে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স এবং কমিউনিকেশন বিভাগের কান্ট্রি ডিরেক্টর কার্ল ইউয়িং বলেন, “আজকের তরুণদের আইসিটি খাতে দক্ষ করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে হুয়াওয়ে আইসিটি অ্যাকাডেমি কাজ করছে।

এই আইসিটি অ্যাকাডেমির মাধ্যমে তরুণ শিক্ষার্থীরা স্বনামধন্য অ্যাকাডেমিশিয়ান ও আইসিটি খাতের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ পাবেন। বুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটে আইসিটি অ্যাকাডেমি বিপুল সাড়া ফেলেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও আমরা একই ধরনের সাড়া পাবো বলে আমি প্রত্যাশা করছি। অন্যান্য সহযোগীদের সাথে নিয়ে নতুন এ অ্যাকাডেমিটি চালু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।” যবিপ্রবি’র আইসিটি সেলের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ড. ইমরান খান বলেন, যবিপ্রবিতে আইসিটি অ্যাকাডেমি তৈরির লক্ষ্যে হুয়াওয়ের উদ্যোগটি বেশ প্রশংসনীয়। এ আইসিটি অ্যাকাডেমি তথ্য প্রযুক্তি খাতে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী, যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (ফোরআইআর) ও রূপকল্প ২০৪১ অর্জনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি। উল্লেখ্য যে, হুয়াওয়ে ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া কো-অপারেশন প্রকল্প হিসেবে আইসিটি অ্যাকাডেমি চালু করে। বর্তমানে যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ বিশ্বজুড়ে ৯০টির বেশি দেশে হুয়াওয়ের পরিচালনায় ১৫০০ আইসিটি অ্যাকাডেমি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ উদ্যোগের সঙ্গে সব মিলিয়ে ৯২৭টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সম্পৃক্ত। এছাড়াও, বিশ্বের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হচ্ছেন।