পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত প্রতিষ্ঠান ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, গত এক দশকে দেশের বেশ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে দেশ ধাবিত হচ্ছে। তবে সমতা নিশ্চিত না করলে তা টেকসই হবে না।
মঙ্গলবার ৯ জানুয়ারি ‘প্রবৃদ্ধি সহায়ক সাম্য’ বিষয়ক কনফারেন্স পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত প্রতিষ্ঠান ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স-এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিনটি কর্ম অধিবেশনে মোট ৪২ টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
পিকেএসএফের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ মানুষের অধিকার নিশ্চিতের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানান। পিকেএসএফের কার্যক্রমে যে মানব কেন্দ্রিক উন্নয়নের মুলমন্ত্র অনুসরণ করা হয় তা উল্লেখ করে বলেন, পিকেএসএফের কার্যক্রম টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মূলনীতি, সকলের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার উপর আলোকপাত করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, সরকার যেভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে চলেছে তা যেন সবার মধ্যে সমভাবে বন্টিত হয়। দেশে বর্তমান অর্থনৈতিক কাঠামোতে মাইক্রোএন্টারপ্রাইজের উন্নয়ন সময়ের দাবী উল্লেখ করে ড. আক্তারুজ্জামান বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে মাইক্রোএন্টারপপ্রইজের কাঠামোগত উন্নয়ন টেকসই উন্নয়নের পথকে প্রশস্ত করবে। তিনি আরও বলেন অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে দেশ ধাবিত হচ্ছে। তবে সমতা নিশ্চিত না করলে তা টেকসই হবে না।
পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবদুল করিম বলেন, দেশের অগ্রগতি ও প্রগতিতে সহায়ক ভূমিকা পালনে পিকেএসএফ বদ্ধ পরিকর। গ্রামীন অর্থনীতির উন্নয়ের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পিকেএসএফ কাজ করছে।
পিকেএসএফের ডিএমডি (প্রশাসন) ড. মোঃ জসীম উদ্দিন বলেন, পিকেএসএফের বাস্তবায়িত ‘সমৃদ্ধি’ কর্মসূচি প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্যও কাজ করে এবং প্রকৃত সাম্য নিশ্চিতের জন্য কাজ করে ।
পিকেএসএফের ডিএমডি (কার্যক্রম) ফজলুল কাদের বলেন, দেশের অগ্রযাত্রায় মাইক্রো এন্টারপ্রেনিয়রশীপ গড়ে তোলা প্রয়োজন।
আজকের বাজার : এসএস /এলকে ০৯ জানুয়ারি ২০১৮