দুর্নীতির অভিযোগ

দ্বিতীয় দিনের মতো অবরুদ্ধ জাবির প্রশাসনিক ভবন

তিন দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ করেছেন একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ তিন দফা দাবিতে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচি চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে অবস্থান নিয়েছেন তারা। এ অবস্থান চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবারও প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে অবস্থান নেন তারা। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনে প্রবেশ করতে না পারায় স্থবির ছিল সব ধরনের দাফতরিক কার্যক্রম।

তবে প্রশাসনের দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে একইদিন সংবাদ সম্মেলন করেন একদল সিনেটর। এদিন বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেন উপাচার্যপন্থী সিনেটররা। এতে ভিন্ন মতাদর্শী অন্তত ১৯ জন সিনেটর উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে গতকাল অবরোধ চলাকালে দেখা গেছে, অবরোধকারীরা ভবন দুটির প্রবেশের সব ফটক বন্ধ করে দেন। এতে করে প্রশাসনিক ভবনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রবেশ করতে না পেরে বাইরে অপেক্ষা করে ফিরে যেতে। ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এছাড়া ভিসি অফিসের সব কার্যক্রমও বন্ধ ছিলো সেদিন।

অবরোধকারীদের দাবি- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ঘিরে নির্মিতব্য তিনটি ১০তলা হলের বিকল্প স্থান নির্বাচন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং দুর্নীতির অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্ত।

এ সময় আন্দোলনকারীদের মধ্যে কয়েকজন জানান, তিনটি ছাত্র হলের জন্য এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে, যেখানে গাছ কম কাটা পড়বে। আর অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ছাত্রলীগের মধ্যে ভাগাভাগির যে অভিযোগ এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা মিথ্যা দাবি করছে।

‘যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে কোনো উচ্চতর কমিটির মাধ্যমে এই অভিযোগের তদন্ত হতে হবে।’

প্রসঙ্গত বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান মেগা প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান অস্বচ্ছ ও অপূর্ণাঙ্গ বলে দাবি করে আন্দোলন করে আসছেন একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে তিন দফা দাবিতে মঙ্গলবার সারা দিন দুটি প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন তারা।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এদিন কোনো দাফতরিক কাজ সম্পাদন হয়নি। আন্দোলনকারীদের পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী অবরোধ কর্মসূচি পালন শেষে আজ ও আগামীকাল অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

আজকের বাজার/এমএইচ