দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাখাতে

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের বিপরীতে মোট ৫৩ হাজার ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে। এটি হচ্ছে কোন খাতে আগামী বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের চার মেয়াদের ২০তম এবং ব্যক্তিগতভাবে অর্থমন্ত্রীর ১২তম বাজেট। এর মধ্য দিয়ে একাধারে দশবার বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য এই বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরপর মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাবিত বাজেটে সম্মতিসূচক স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রতিবছর আনুমানিক ২০ লক্ষ লোক শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। তবে, শ্রমবাজারে আসা সকল কর্মী দক্ষ নয়। ফলে, দেশে বিপুল শ্রমশক্তি থাকা সত্ত্বেও দেশিয় শিল্পে দক্ষ শ্রমিকের জন্য আমাদের প্রতিবেশী দেশের কর্মীদের ওপর নির্ভর করতে হয়। অন্যদিকে, দক্ষতার ঘাটতির কারণে প্রবাসে বাংলাদেশী কর্মীরা যথাযথ মজুরি পায়না। অভিবাসী শ্রমিকদের সংখ্যানুপাতে বাংলাদেশে প্রবাস আয় প্রবাহ তুলনামূলকভাবে কম। সব দিকে লক্ষ্য রেখে কর্মসংস্থানবান্ধব কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সুযোগ বাড়ানো, এধরনের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ তৈরি করা এবং মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মাণ এবং অবশিষ্ট ৩৮৯টি উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই সাথে, বিদ্যমান প্রশিক্ষণকেন্দ্রসমূহে অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণের আয়োজন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে জনপ্রিয় করা হচ্ছে।

এছাড়া, ৪টি বিভাগীয় শহরে ৪টি মহিলা পলিটেকনিক, প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে গার্লস টেকনিক্যাল স্কুল, ২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন এবং সকল বিভাগে একটি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নে ৩৫টি মডেল মাদ্রাসা স্থাপন ও ৫২টি মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু করেছি এবং দেশের ৬৫৩টি মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী জানান।