দ্বৈত কর বাতিলে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ। দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আরও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে দুই দেশের রাজস্ব কর্মকর্তারা এই চুক্তি করেন।
২৪ এপ্রিল, বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন প্রেস বিজ্ঞতির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
দু’দেশের দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি সম্পাদনের জন্য দ্বিতীয় দফা আলোচনা সকালে বিসিএস (কর) একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এর আগে ২০১৭ সালে দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে প্রথম দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেস বিজ্ঞতিতে বলা হয়, চুক্তি সাক্ষরের ফলে বিনিয়োগকারীকে একই অর্থ বা আয়ের জন্য দুই দেশে আর কর দিতে হবে না। বর্তমানে ৩৫টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের এ ধরনের চুক্তি রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত গতিশীল। বিশেষ করে মালদ্বীপের শ্রম বাজারের বৃহৎ অংশে বাংলাদেশের শ্রমিকদের অংশগ্রহণ রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় এক লাখ শ্রমিক মালদ্বীপে কাজ করছেন, যা মালদ্বীপের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ।
অনুষ্ঠানে এনবিআর -এর সদস্য (আন্তর্জাতিক কর) আরিফা শাহানা এবং মালদ্বীপের পক্ষে সেদেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব প্রশাসনের ডেপুটি কমিশনার জেনারেল হাসান জারির নেতৃত্ব দেন। এছাড়া মালদ্বীপ প্রতিনিধি দলে অমিনাথ জুমরা ও আসমা সাফিউ অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (কর) কমিশনার অপুর্ব কান্তি দাস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (কর) খন্দকার খুরশীদ কামাল, আসমা দিনা গনি ছাড়াও কর বিভাগের কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ, আব্দুর রাজ্জাক, সরদার মো. আবু হেলালসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুদানা ইকরাম চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন।
