স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ২০০২ সালে পাশ হওয়া এ আইনের সংশোধনী ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিসহ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে, কণ্ঠভোটে বিলটি পাশ হয়।
নতুন এ বিল- "আইন-শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ-দ্রুত বিচার সংশোধন বিল-২০১৮" নামে পরিচিত হবে। এছাড়া, গাজীপুর এবং রংপুর মহানগরী পুলিশ বিল-২০১৮ পরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবও গ্রহণ হয় সংসদে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিলটি জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন, রওশন আরা মান্নান ও নূরুল ইসলাম ওমর। কিন্তু সেই প্রস্তাবে আপত্তি জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে কণ্ঠভোটে প্রস্তাবটি নাকচ হয়ে যায়।
বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত পাঁচ বছরের পরিবর্তে সাত বছর শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করায় সাজার মেয়াদ ৫ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৭ বছর করা হলো।
এছাড়া বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ৮ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লেখিত সরকার বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটকে উক্ত আদালতের বিচারক নিযুক্ত করবে শীর্ষক নতুন (২) উপ-ধারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
পাস হওয়া বিল সম্পর্কে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে, চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাকালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র ক্রয়-বিক্রয় গ্রহণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১১ নং আইন) প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিলো।
উক্ত আইনে শাস্তির পরিমাণ কম থাকায় আইনটি সময়োপযোগী করা এবং দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে এ আইনে নির্ধারিত শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন বলে বলা হয়েছে।
আজকের বাজার : আরএম/১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮