ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভনদের লিয়েন সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়োন সুক ইওলের সাথে এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য সিউল সফরে যাচ্ছেন। খবর এএফপি’র।
ইউরোপীয় নেতারা বাণিজ্য চুক্তি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও উত্তর কোরিয়ার নিষিদ্ধ অস্ত্র কর্মসূচিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য পূর্ব এশিয়ার এ দেশ সফরে যাচ্ছেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় এটি তাদের প্রথম সফর। তারা হিরোশিমায় জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং দক্ষিণ কোরিয়া আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য তাদের জোরালো যৌথ সমর্থন প্রকাশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
বিশ্বের নবম বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ইউক্রেনকে মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে এবং পোল্যান্ডের কাছে ট্যাঙ্ক ও ছোট আকারের কামান বিক্রি করেছে। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে কিয়েভের একটি প্রধান মিত্র দেশ হচ্ছে পোল্যান্ড।
যদিও দেশটির সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে অস্ত্র সরবরাহ না করার একটি দীর্ঘস্থায়ী নীতি রয়েছে।
গত সপ্তাহে সিউলে জেলেনস্কির –পতœী ওলেনা জেলেনস্কার সাথে বৈঠকের পর রোববার জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে আলোচনা করেছেন ইয়োন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হিরোশিমায় জেলেনস্কির সাথে সাক্ষাতের সময় ইয়োন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের অনুরোধে ডিমাইনিং সরঞ্জাম এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ কিয়েভকে আরো অপ্রাণঘাতী অস্ত্র সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
ইয়োনের দপ্তর জানায়, ইইউ নেতাদের এই সফর হবে ‘অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহারিক সহযোগিতা জোরদারসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে সহযোগিতাকে আরো গভীর করার একটি সুযোগ।’