ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা

ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা মঙ্গলবার বলেছেন, বিকৃত মস্তিস্ক, কাণ্ডজ্ঞানহীন, বিবেক বর্জিত ও মানসিক বিকারগ্রস্থরাই ধর্ষণকারী।

সেই সাথে তিনি চিকিৎসা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও আইনি সহায়তাসহ নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের পাশে থাকাতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষ থেকে ভার্চ্যুয়ালি বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ধর্ষকেরা যে পাড়া বা মহল্লায় থাকে, তারা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকলে বা কোনো পিতা-মাতার সন্তান ধর্ষক হলে তাদের সমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরিবার থেকে ঘৃণা, বর্জন ও বিতাড়িত করার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা।

মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভীন আকতারের সভাপতিত্বে সভায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব কাজী রওশন আক্তার, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ ও যুগ্মসচিব মো. মুহিবুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা নারীদের ধর্ষণ করেছিল তাদের নিয়ে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে সরকার গঠন করে এ দেশে ধর্ষণ ও নির্যাতনের বীজ বপন করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এ দেশ থেকে ধর্ষকদের মূলোৎপাটন হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ধর্ষণ প্রতিরোধে দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি হয়েছে এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে ধর্ষণের বিচারের রায় হতে শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সমাজের নেতা, শিক্ষক, উন্নয়নকর্মী ও ধর্মীয় নেতাদের সমন্বয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিদ্যমান আইন বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে। বাল্যবিয়ে বন্ধে বিয়ে নিবন্ধক ও পুরোহিতদের সাথে কাজ করতে হবে, বলেন তিনি।

সভায় নোয়াখালী, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার উপপরিচালকরা করোনা ও সাম্প্রতিক সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে তাদের কার্যক্রম তুলে ধরে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের সব নির্দেশনা বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।