দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সিরিজে অংশ নিতে দেশটিতে পৌঁছেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। কয়েকজন খেলোয়াড়ের পরিবারের সদস্যরাও আছেন এই সফরে। তবে দলটির ওপেনার শিখর ধাওয়ান বড় বিপাকে পড়েছিলেন। জন্মসনদ সাথে না থাকায় স্ত্রী ও সন্তানদের দুবাইতে রেখেই দক্ষিণ আফ্রিকায় আসতে হয়েছে তাকে। এই ঘটনায় তাদের বহনকারী এয়ারলাইন্স কোম্পানি এমিরেটসকে ধুয়ে দিয়েছিলেন ধাওয়ান। পরে বিমান প্রতিষ্ঠানটি দুঃখপ্রকাশ করেছে। তারা এও জানিয়েছে গন্তব্যস্থল দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়ম অনুযায়ীই এই কাজটি করা হয়েছে।
মুম্বাই থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় ভারতীয় ক্রিকেট দল। দুবাইতে ট্রানজিটের সময় তাদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্স ধাওয়ানের সন্তানদের জন্মসনদ ও আরো কিছু কাগজপত্র দেখতে চায়। সেগুলো সাথে না থাকায় তার স্ত্রী ও সন্তানদের দক্ষিণ আফ্রিকাগামী বিমানে উঠতে দেয়া হয়নি। ধাওয়ানকে দলের সাথে দুবাই ছাড়তে হয়। আর তার পরিবারকে ওইসব কাগজ ভারত থেকে না আসা পর্যন্ত সেখানেই অপেক্ষা করতে হয়। ব্যাপারটি আগে না জানানোয় এমিরেটসের আচরণকে অপেশাদার আখ্যা দেন ধাওয়ান। সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগও তোলেন।
এই ঘটনার পর মুখ খুলেছে এয়ারলাইন্সটির কর্তৃপক্ষ। তাদের একজন মুখপাত্র দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘পরিকল্পনা মতো পুরো পরিবার একসাথে ভ্রমণ করতে পারেনি। এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
তারা এই ব্যাপারটির ব্যাখ্যাও দিয়েছে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়ম অনুযায়ী ১ জুন ২০১৫ সালের পর থেকে ১৮’র কমবয়সী কোন শিশুকে নিয়ে কেউ সেদেশে ভ্রমণে গেলে অভিভাবকত্ব প্রমাণ করতে হয়।’
এখানে তারা অপারগ এবং যাত্রীদের সহযোগিতাও প্রয়োজন বলে জানান এই মুখপাত্র, ‘সব এয়ারলাইন্সের মত আমরাও যেসব দেশে যাচ্ছি তার নিয়ম মেনে চলতে হয়। এটা যাত্রীদেরও দায়িত্ব তারা যেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়েই বিদেশ ভ্রমণে যায়।’
ভারতীয় দল সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছে ২০১৩ সালে। তাই হয়তো এই নিয়মটি জানা ছিল না ক্রিকেটারদের।
আজকের বাজার: সালি / ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭