‘নগদ’ চলতি বছরের মধ্যে দেশের মোবাইল আর্থিক সেবা বাজারে নেতৃত্ব দিতে চায় : নির্বাহী পরিচালক

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ কিছু নতুন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে চলতি বছরে মধ্যে দেশের মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) বাজারে নেতৃত্ব দিতে চায়।
এছাড়াও, নগদ চলতি বছরের মধ্যে ডিজিটাল ব্যাংকিং উদ্যোগ চালু করতে চায় যা দেশের এমএফএস ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে হবে প্রথম।
নগদের নির্বাহী পরিচালক মারুফুজ ইসলাম ঝলক বাসসকে বলেন, ‘আশা করি, কিছু প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশে আমরা এক নম্বর হব। আমরা শীর্ষে থাকব।’
নগদের সামগ্রিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন পরিচালনাকারী ঝলক দাবি করেন, এই এমএফএস ক্যারিয়ার দেশের অন্যান্য এমএফএস ক্যারিয়ারের চেয়ে আধুনিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে থাকবে।
তিনি মনে করেন, নগদ সম্প্রতি বাজারে সবচেয়ে কম ক্যাশ আউট সুবিধার পাশাপাশি সহজে একাউন্ট খোলার কারণে একদিনে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা লেনদেন উপভোগ করার মাইলস্টোনে পৌঁছেছে।
ঝলক বলেন, দক্ষতা উদ্ভাবন এবং রূপান্তরের মাধ্যমে উৎকর্ষতা আরও বাড়ানোর সম্ভব যা নগদ নিরলসভাবে অনুসরণ করছে।
এমএফএস ক্যারিয়ারের মাধ্যমে দেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা চালুর বিষয়ে আলোকপাত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে এ বছরের মধ্যে তারা এই শাখাবিহীন সেবা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
তিনি আরও বলেন, এটি দেশে একটি বিপ্লব হবে যেখানে দেশব্যাপী নগদের নিবন্ধিত এজেন্টরা গ্রাহকদের কাছে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কাজ করবে।
নগদের নির্বাহী পরিচালক বলেন, নতুনতর প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারণার ঘটনা নি¤œস্তরে নামিয়ে এনে নগদে লেনদেনের পাশাপাশি নির্ভূল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে, গত বছরের মার্চ থেকে পিআরআইএসএম অ্যাপ ব্যবহারে তারা আরও ভালো বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে একদিনে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি লেনদেন করেছে।
এমএফএস খাতের সম্ভাবনা সম্বন্ধে ঝলক বলেন, আর্থিক শিল্পকে রূপান্তর না করে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো উন্নত জাতি হিসেবে দেশের অবস্থান উন্নত করার অন্য কোনো উপায় নেই।
বাজারে নেতৃত্বে থাকা বিকাশ ছাড়াও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিষেবা নিয়ে নগদ সামনে থেকে নেতৃত্বে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মাত্র তিন বছরে আমরা ৬ কোটি ২৫ লাখ গ্রাহক নিবন্ধিত করতে পেরেছি এবং একদিনে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা লেনদেন যা প্রযুক্তি ব্যবহারের চূড়ান্ত ফলাফল।
নগদ দেশে প্রথম ই-কেওয়াইসি চালু করেছে যা কোম্পানি হিসেবে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যাপকতর একটি পদক্ষেপ।
স্মার্ট ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ই-কেওয়াইসি একাউন্ট খোলা সেই সময়ে বিরল ঘটনা ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী এই চ্যানেলের মাধ্যমে গত মার্চে দেশে প্রায় ৭৮ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যাতে নগদেরও একটি বেশ বড় অংশ রয়েছে। নগদ শুরুর আগে দেশে এই মাধ্যমে গড় লেনদেন ছিল ৩০ হাজার কোটি টাকা। এরপর থেকে এটি আড়াই গুণ বেড়েছে যা উদ্ভাবনী প্রযুক্তির একটি বড় অবদান। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সময়ে এমএফসির মাধ্যমে লেনদেন দ্বিগুণ হয়েছে এবং এই লেনদেনের বৃদ্ধির এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।