নগরীর ৯২ স্থাপনায় এডিসের লার্ভা, সোয়া লাখ টাকা জরিমানা করেছে ডিএনসিসি

নগরীর ৯২টি স্থাপনায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের প্রায় সোয়া লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি)।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিশেষ পরিছন্নতা অভিযান বা চিরুনি অভিযানের আজ চতুর্থ দিনে এ জরিমানা করা হয়।
ডিএনসিসি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ১৩ হাজার ৫৮০টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৯২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮ হাজার ৪৭টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে ২২টি মামলায় মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৩১০ টাকা জরিমানা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৪ জুলাই ১০ দিনব্যাপী শুরু হওয়া চিরুনি অভিযানে আজ পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজার ১৮৬টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৩৬৭টিতে এডিসের লার্ভা এবং ৩২ হাজার ৫১৪টিতে এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ চারদিনে ৭০টি মামলায় মোট ৮ লাখ ২ হাজার ১০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আজ উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ১ হাজার ১১৫ টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৩টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া গেলে ৩টি মামলায় মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৮৩৪টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৭৯৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪০৮টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪টি মামলায় মোট ৬৫ হাজার ৮১০ টাকা জরিমানা করা হয়।
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৫৬৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৫টি মামলায় ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৫২৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭৬০টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ২৮৪টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এসময়ে ৩টি মামলায় মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ১ হাজার ৭৮১টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৪২৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১৩৩টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৯২১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৬৮৬টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) মোট ৭৯১টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তবে ৫৬৬টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৪৮৬টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ৩১৯টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৬৬৮টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫৫৫টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উল্লেখিত সকল সম্ভাব্য এডিস মশার প্রজননস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।