নতুন কাস্টমস আইনে ট্রানজিট সুবিধা রাখার পরামর্শ

শাহ্জাহান সাজু ঃ নতুন কাস্টমস আইন প্রনয়ন করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে আইনের বিধি-বিধান প্রণয়নে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য, ট্রানজিট সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে যাতে অন্তরায় সৃষ্টি না করে, সেই দিকে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়েছে, মন্ত্রিসভা। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কাস্টমস আইন, ২০১৪ এর খসড়ার বিষয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে বলা হয়, কাস্টমস সম্পর্কিত বিধি-বিধান যুগোপযোগী, সহজ, সমন্বিত ও সুসংহতকরণসহ বিদ্যমান ‘দ্যা কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ ’ রহিত করে, বাংলা ভাষায় একটি স্বচ্ছ; আধুনিক , রাজস্ব, ব্যবসা ও বিনিয়োগ বান্ধব এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাভিত্তিক ‘কাস্টমস আইন, ২০১৪’ প্রণয়নের প্রস্তাব প্রশংসনীয়। প্রস্তাবিত আইনের বিধান যাতে দেশে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উৎসাহ প্রদান এবং প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য ‘ট্রানজিট’ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে অনতরায় সৃষ্টি না করে, সেই দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
বৈঠকে আরও বলা হয়, আইনটি প্রণয়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ-পরামর্শকের সহায়তা নেয়া হয়েছে। তবে দেশি শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের দিকে লক্ষ্য রেখে, বিশ^ বাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিউটিও) ট্রেড ফেসিলিটিয়েটশন এগ্রিমেন্টের (টিএফএ) বিষয়াদি অন্তভুক্তকরণের উপযোগীতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে দেশের অভিজ্ঞ পরামর্শকদের সহায়তা গ্রহণ করা সমীচিন হবে। এছাড়াও কাস্টমস সংক্রান্ত বিষয়াদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ট্যারিফ কমিশনের কর্মপরিধিভুক্ত হওয়ার কারণে আইনটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে ট্যারিফ কমিশনকে সম্পৃক্ত করা সমীচিন হবে। এই আইন প্রণয়নের সময় ডাব্লিউটিও’র টিএফএ’র বিষয়াদি বিশে^র বিভিন্ন দেশের কাস্টমস সংক্রান্ত আইনে কিভাবে অন্তভুক্ত করা হয়েছে, তা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যমান এবং প্রস্তাবিত আইন পর্যালোচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিবের নেতৃত্বে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ও জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থার সচিবদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়। ওই কমিটি মন্ত্রিসভা-বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী প্রস্তাবিত আইনের বিধানগুলো পর্যালোচনা করবে। এর পর তারা প্রয়োজনীয় সংশোধন বা পুনর্গঠন করে আইনটির খসড়া চ’ড়ান্ত করবেন।
আজকের বাজার: এসএস/ডিএইচ/সালি, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭