নতুন বছরে বান্ধবী ‘উপহার’ নেইমারের

হতাশা-ব্যর্থতার গ্লানি মুছে দিয়ে নতুন বছর নাকি হাজির হয় জীবনে নতুন ফুল ফোটানোর বার্তা নিয়ে। নেইমারের জীবনে সেই ফুল ফুটিয়ে দিল ২০১৮ সালের প্রথম দিনটিই। নতুন বছরের প্রথম দিনেই পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকার জীবনে ঘটে গেল বান্ধবী সংযোগ। একাকীত্ব ঘুচিয়ে নেইমার হয়ে গেলেন দোকলা।

না, সম্পূর্ণ নতুন একজনকে বাহুডোরে বেঁধে ফেলেননি। গত জুনে সম্পর্কের পাট চুকিয়ে গিয়েছিল যার সঙ্গে, সেই পুরোনো বান্ধবী ব্রাজিলিয়ান অভিনেত্রী ব্রুনা মারকুয়েজিনের সঙ্গেই পুর্নমিলনী হলো তার। রাগ-ক্ষোভ-অভিমানকে ছুটি দিয়ে দুজনে আবার বাধা পড়লেন একে অন্যের বাহুডোরে। বছরের প্রথম দিনেই শুরু করলেন নতুন করে পথচলা।

বিশ্বজুড়ে নিজের ভক্ত-সমর্থকদের এই খুশির সংবাদটা দিয়েছেন নেইমার নিজেই। নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন বান্ধবী মারকুয়েজিনের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মূহুর্তের একাধিক ছবি। ছবি গুলোর কোনটায় দেখা যাচ্ছে, একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছেন তারা।
কোনটায় দেখা যাচ্ছে, একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। মুখে পুর্নমিলনীর হাসি। বোঝাই যাচ্ছে, নতুন বছরের প্রথম দিনটি অবিশ্বাস্য সুখেই কাটিয়েছেন নেইমার।

অবশ্য তাদের এই পুর্নমিলনী নতুন করে ‘বিচ্ছেদের’ আগাম শঙ্কাও জাগিয়ে দিয়েছে! গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ২২ বছর বয়সী অভিনেত্রী ব্রুনা মারকুয়েজিন নেইমারের ২৫ বছর বয়সী জীবনের ‘তৃতীয়’ বান্ধবী। প্রথম যিনি নেইমারের জীবনে এসেছিলেন, তার নাম এখনো আবিষ্কার করতে পারেননি গণমাধ্যম।

না জানাটা যুক্তি সংগতও। কারণ, তখনো নেইমার তারকা-খ্যাতি পাননি। অখ্যাতরা কে কোথায়, কার সঙ্গে প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন, সেই সংবাদ জোগাড় করতে গণমাধ্যমের বইয়েই গেছে। তবে ‘দ্বিতীয়’ যিনি নেইমারকে নতুন করে প্রেমের স্বাদ উপহার দেন, তিনি ক্যারোলিন দান্তাস। তাদের ‘ঘরে’ একটি ছেলেও আছে, ডেভি লুকা।
ছেলের জন্মের কিছুদিন পরই অবশ্য নেইমারের জীবন থেকে সরে যান ক্যারোলিন। দায়টা কার বেশি, সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ কেউই কাউকে সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেননি। দান্তাস চলে যাওয়ার পর নেইমারকে অবশ্য খুব বেশি দিন একা থাকতে হয়নি।

শূন্যতা ঘুচিয়ে দ্রুতই তার হৃদয় দখল করে নেন সুন্দরী অভিনেত্রী ব্রুনা মারকুয়েজিন। তবে তিনি বান্ধবী হওয়ার আগে নেইমারকে যতটা একাকীত্বের শূন্যতায় পুরতে হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি পুরতে হয়েছে তিনি জীবনে আসার পর!
আজ দুজনে একসঙ্গে পথচলার তরীতে চড়ে বসেন তো, কদিন পরই সেই তরী ডুবিয়ে দিয়ে দুজনে বেছে নেন আলাদা পথ। এ পর্যন্ত মোট ৪ বার ছাড়াছাড়ি হয়েছে তাদের! সর্বশেষ তাদের মধ্যে বিচ্ছেদের সুর বাজে গত জুনে। ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত জুনে নিজেদের সম্পর্কটাকে চূড়ান্ত পরিণতির জন্য বিয়ে করার দাবি করেন মারকুয়েজিন। কিন্তু নেইমার রাজি হননি। তাই অভিমানে দূরে সরে যান মারকুয়েজিন। সেই থেকেই একাকীত্বের অভিশাপকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলছিলেন পিএসজি তারকা।

তাই বারবার এই ভাঙ্গাগড়ার খেলায় আবার যখন পুর্নমিলন হলো, তাতে আরেকবার ‘বিচ্ছেদের’ করুণ সুর বাজার সম্ভাবনার দুয়ারও খুলে গেল!

আজকের বাজার: সালি / ০২ জানুয়ারি ২০১৮