শেরপুরে নব্য জেএমবি সদস্য আবুল কাশেম ওরফে আবু মোসাবের (২২) বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর বিস্ফোরক মামলায় তাকে ২১ বছরের সশ্রম কারদণ্ড ঘোষণা করেছেন আদালত।
বুধবার (২৭ জুন) দুপুরে শেরপুরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এমএ নূর এ সাজার রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত পিপি অ্যাডভোকেট অরুণ কুমার সিংহ রায় জানান, ট্রাইব্যুনাল ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪ ধারায় নব্য জেএমবি সদস্য আবুল কাশেম ওরফে আবু মোসাবের বিরুদ্ধে ১৪ বছর এবং একই আইনের ৫ ধারায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন। উভয় সাজা পর্যায়ক্রমে চলবে। রায়ে একইসাথে উভয় ধারায় ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত পিপি জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গত দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি। এজন্য ব্যবসার নামে গুদাম ভাড়ার আড়ালে শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বাজারে বিস্ফোরক তৈরীর বিপুল রাসায়নিকের মজুদ করেছিল নব্য জেএমবি সদস্যরা। ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর রাতে বিস্ফোরক তৈরীর ওই গোডাউনের সন্ধান পায় পুলিশ। সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৯ কন্টেইনার ভর্তি ৬০০ লিটারের অধিক রাসায়নিক তরল পদার্থ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, নাইট্রিক এসিড, সালফারিক এসিড, ক্লোরোফর্ম ও ডাইক্লোমেথিন উদ্ধার করে পুলিশ।
পিপি জানান, সিআইডি’র ফরেনসিক পরীক্ষায় এসব রাসায়নিক উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক তৈরীর কাজে ব্যবহারের প্রতিবেদন দেয়া হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ অক্টোবর নকলা থানায় গোডাউনের ভাড়াটে আবুল কাশেম (২২) ও ফয়েজ উদ্দিন (৩৩) এবং মালিক মিনারা বেগমসহ (৩২) ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪/৫/৬ ধারায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়।
মামলর তদন্ত কর্মকর্তা ও চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আমিনুর রহমান তদন্ত শেষে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর একমাত্র আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
চলতি বছরের ৮ মার্চ ওই মামলায় আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর বিচারিক পর্যায়ে সংবাদদাতা বাদী, ম্যাজিস্ট্রেট ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞসহ ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করলেন আদালত।
আজকের বাজার/ এমএইচ