২০৩৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে কুষ্ঠ রোগ নির্মূল করতে জেলায় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় স্বাস্থ্য বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মুক্তাদির আরেফীন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, মৃদু সংক্রমণশীল কুষ্ঠ রোগের জীবাণু হাঁচি, কাশি বা বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। ত্বকে দৃশ্যমান হলেও কুষ্ঠ একটি স্নায়বিক রোগ। কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসা নিলে এ রোগ সম্পূর্ণ ভাল হয়। তবে চিকিৎসা নিতে বিলম্ব করলে এ রোগে বিকলঙ্গতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে চিকিৎসা গ্রহণ করে বিকলঙ্গতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। দেশের জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের সকল সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। সরকার ২০৩৫ সালের মধ্যে কুষ্ঠ নির্মূলে প্রচারণা, উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমের পাশাপাশি বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছে।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন নাটোর সদর হাসপাতালের চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এস এম ফরহাদ, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রাসেল। রোগের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন কুষ্ঠ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হওয়া আব্দুর রহিম ও আশরাফুল ইসলাম।
লেপ্রা বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় কর্মশালায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ছাড়াও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। (বাসস)