নাটোরে নারদ নদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নারদ নদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা এগারোটার দিকে তেবাড়িয়া এলাকায় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ।

অভিযানে হুগোলবাড়িয়া ব্রীজ এলাকা থেকে তেবাড়িয়া পর্যন্ত তিনশ’মিটার এলাকায় মোট ১২১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন নাটোর কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাছমিনা খাতুন। তিনি বলেন, জরিপের মাধ্যমে নদীর সীমানা চিহ্নিত করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল। ঐ নোটিশের প্রেক্ষিতে তারা সাতদিনের মধ্যে তাদের স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় লোকাল অথরিটি ল্যান্ড এন্ড বিল্ডিংস অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।

নারদ নদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এটি তৃতীয় অভিযান। এরআগে পরিচালিত দুইটি অভিযানে শহরের নীচাবাজার ও কানাইখালী এলাকায় মোট ২৮টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান সফল করতে জেলা নদী রক্ষা কমিটি সভায় প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ পেয়ে নদী দখল করে নির্মিত চারতলা ভবনসহ অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেন অনেকেই।

নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, নাটোর জেলাসহ এ অঞ্চলের নদীগুলোকে সচল করতে বড়াল বেসিন ভিত্তিক এক হাজার ৩৫ কোটি টাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এরমধ্যে নারদ নদের নাটোর শহরের পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদীর বাঁধ, ওয়াকওয়ে, সিটিংপ্লেস, বনায়নসহ সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ রয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে নারদসহ নদীগুলো প্রাণ ফিরে পাবে। উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব প্রদানকারী নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব)মোছাঃশরীফুন্নেছা জানান, বিধি মোতাবেক উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে। জেলা প্রশাসক মোঃশাহরিয়াজ বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে কোন বসতি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের পুনর্বাসনে জেলা প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান