নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পুলিশের অস্ত্র খোয়া ও পরে সেটা উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ত্রিপক্ষীয় গোলাগুলিতে আসমী নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) দিনগত রাত ২টায় দাপা আলামিন নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই আসামীর নাম পারভেজ (৩০)। সে ফতুল্লার দাপা পাইলট স্কুল এলাকার সোবহান মিয়ার ছেলে।
পুলিশের দাবি দাপা এলাকায় ছিনতাইকারী দুই গ্রুপের গোলাগুলি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ত্রিপক্ষীয় গোলাগুলি চলে। এসময় ক্রসফায়ারে পরে পারভেজ মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি রিভলবার ও ৩টা বড় ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে রোববার রাতে এএসআই সুমন কুমার পালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ফতুল্লা রেলস্টেশন রোড এলাকার একটি বালুর মাঠে ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন। গভীর রাতে কনস্টেবল সোহেল রানার সঙ্গে থাকা একটি চাইনিজ রাইফেল খোয়া যায়। পরদিন ১৪ মে সোমবার সকাল ১১টায় ফতুল্লার দাপা বালুর মাঠে ডোবার পাশ থেকে রাইফেলটি উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই সুমন কুমার পাল, তিনজন কনস্টেবল মাসুদ রানা, আরিফ ও সোহেল রানাকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়।
পরে সুমন পাল বাদী হয়ে পারভেজসহ তিনজনকে আসামি করে সোমবার রাতেই ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করে। এতে অভিযোগ করা হয় পারভেজ ওই অস্ত্রটি লুট করেছিল। পারভেজ পুলিশের সোর্স হিসেবেই এলাকাতে পরিচিত।
আজকের বাজার/ এমএইচ