নাসার ওরিয়ন মহাকাশযান ফিরতি পথে, রোববার প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ

নাসার ওরিয়ন স্পেসশিপ চাঁদের কাছাকাছি দূরত্ব দিয়ে আবর্তন করেছে এবং পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য সোমবার মহাকর্ষ নির্দেশিত পথে আর্টেমিস-১ মিশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
চাঁদের নিকটতম বিন্দুতে ক্রুবিহীন ক্যাপসুলটি চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ৮০ মাইলের (১৩০ কিলোমিটার) কম দূর দিয়ে উড়েছিল, এ সময় পরীক্ষামূলক কৌশলগুলি যাচাই করা হয়, পরবর্তী আর্টেমিস মিশনের সময় এগুলো ব্যবহার করা হবে। এই মিশনে চাঁদের পাথুরে ভূমিতে আবার মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
সোমবার ছিল চাঁদ থেকে ওরিয়নের বিদায়ের দিন, এ জন্য মিশনের যান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু করা হয়, পৃথিবী থেকে এই মিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল গত ১৬ নভেম্বর। সাড়ে ২৫ দিনের এই মিশন শেষে ১১ ডিসেম্বর রোববার সান দিয়াগোর কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে স্থানীয় সময় সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটে (১৭৪০ জিএমটি) ওরিয়ন ক্যাপসুলটি অবতরণ করবে। পরে এটি উদ্ধার করে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজে তোলা হবে।
ফিরতি যাত্রার আগে ওরিয়ন চাঁদের চারপাশে ‘দূরবর্তী বিপরীতমুখী কক্ষপথে’ প্রায় ছয় দিন কাটিয়েছিল, পৃথিবীর চারপাশে আবর্তনকালে চাঁদের যে অংশ পৃথিবীর দিকে থাকে তার বিপরীত দিকে ওরিয়ন অবস্থান করে, পৃথিবী থেকে এই দূরত্ব ২ লাখ ৮০ হাজার মাইল (৪ লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার)। নভোচারীদের বহন যোগ্য কোন ক্যাপসুলের এটিই এ যাবত কালের সর্বোচ্চ দূরত্ব।
আর্টেমিস মিশন ম্যানেজার মাইক সারাফিন বলেছেন, এই মিশনে ক্যাপসুল পৃথিবীতে ফিরে আসা পর্যন্ত ওরিয়নের ভ্রমণপথের দূরত্ব দাঁড়াবে ১৪ লাখ মাইল।
ফেরার পথে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে পুনঃপ্রবেশকালে মহাকাশযানটি তীব্র উত্তাপের পরীক্ষার মুখোমুখি হবে, ক্যাপসুলটিকে প্রায় ৫ হাজার ডিগ্রী ক্যালভিন তাপমাত্রা সহ্য করতে হবে।