নিউইয়র্কে আংশিকভাবে চালু করা হচ্ছে অর্থনৈতিক কার্যক্রম

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের মূল কেন্দ্র নিউইয়র্কে সোমবার থেকে অর্থনৈতিক কার্যক্রম আংশিকভাবে চালু করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় তিন মাসের লকডাউন শেষে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকেই যাচ্ছে।

নিউইয়র্কের প্রায় চার লাখ লোক কাজে ফিরতে পারছেন। নির্মাণ ও উৎপাদনখাতসহ খুচরা বিক্রেতাদেরও তাদের কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে লুটপাটের কারণে দোকানগুলোতে পণ্য স্বল্পতা রয়েছে।

নিউইয়র্ক অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরুর প্রথম ধাপে থাকলেও করোনায় পর্যুদস্ত ইউরোপের দেশগুলো অনেকটা স্বাভাবিকের দিকেই যাচ্ছে। গত মার্চ মাসের শেষে যুক্তরার্ষ্টের জনবহুল নিউইয়র্ক নগরী করোনার মূল কেন্দ্র হয়ে ওঠে। করোনায় সেখানে ২১ হাজারেরও বেশি লোক মারা যায়।

মেয়র বিল ডব্লিসিও লকডাউন শিথিলের প্রাথমিক এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তিনি অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং নিয়মিত হাত ধোয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তবে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েড হ্যতার প্রতিবাদে বিক্ষোভকালে সপ্তাহ খানেক আগে ব্যাপকভাবে লুটপাট হওয়ায় দোকানগুলো মালামাল সংকটে রয়েছে। লুটপাটের কারণে মেয়র কারফিউ জারি করতে বাধ্য হন। অর্থনীতি পুনরায় সচলের ঘোষণা দেয়ার একদিন আগে এ কারফিউ তুলে নেয়া হয়।

এদিকে গভর্ণর এন্ডু কওমো বিক্ষোভে অংশ নেয়া হাজার হাজার লোককে করোনা পরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। আশংকা করা হচ্ছে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা করোনার সংক্রমণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। নিউইয়র্কের বারগুলো শিথিলের ৩য় পর্যায়ে এবং মুভি থিয়েটার ও জাদুঘর ৪র্থ পর্যায় অর্থাৎ জুলাইয়ের শেষ নাগাদ খুলে দেয়া হতে পারে।

সোমবার জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইউরোপের অবস্থার উন্নতি হলেও বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।

গত বছর ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর এটি পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনায় বিশ্বে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪ লাখ ৩ হাজার লোক। আক্রান্ত অন্তত ৭০ লাখ লোক। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান