নিজেকে দুর্ভাগা বলবো না: তামিম

শিরোনামটা একটু চমকে দিতে পারে। ভাবতে পারেন, এটা আবার কেমন কথা! প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৮৪ এবং পরের ম্যাচে ৮৪ রানে আউট হওয়ার পরও কোনো আক্ষেপ নেই তামিম ইকবালের। তিনি তো আর উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেননি!

কথা বড় বেশি ঠিক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগের তামিম হলে সেঞ্চুরিটা ঠিকই তুলে আনতেন। কিন্তু এখন দলকে নিরাপদে এবং সহজে পার করা নিয়ে কথা। প্রথম ম্যাচে ছোটো টার্গেটের পেছনে ছুটে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে ফেরা। দশম সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা দেশসেরা ব্যাটসম্যানের। পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের দাপুটে ব্যাটিংয়ে দারুণ দুই জুটি ওপেনার তামিমের। প্রথমে ওপেনিং পার্টনার এনামুল হক বিজয়ের সাথে। তারপর বন্ধু সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। কিন্তু দলকে রানের পাহাড়ে উঠিয়ে দেওয়ার পথ করে দিয়ে তামিম যে ৮৪ রানে আউট! ১৬ রানের আক্ষেপ তো থাকতেই পারে। ম্যাজিক ফিগারটা যে খুব কাছে এসে চলে গেল!

(নিজেকে) দুর্ভাগা বলবো না। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে দ্বিতীয় ম্যাচে আমি যেভাবে খেলছিলাম…একটা সময় ছিল যে আমি শুরু করেছি খুবই ধীরে। আমার কাছে যেটা সবচে ভাল লেগেছে ওই ইনিংসের ব্যাপারে যে আমি উইকেটটা থ্রো করিনি।’ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরের দিন আরেকটি ম্যাচ। আর ইনফর্ম তামিম তার আগের দিন সোমবার মিরপুরে নিজের আগের দুই ইনিংস পর্যালোচনা করে বলছিলেন, ‘আমি সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করেছি। যখন সময় এসেছে সেটা সুবিধা তুলে নিয়েছি একজন বোলারকে টার্গেট করে। ওইভাবে খেলছিলাম।’

এবং এই ত্রিদেশীয় সিরিজে তামিম যে তার পরিকল্পনা মতো ব্যাট করতে পারছেন তা তার কথাতেই পরিষ্কার। এই কথার শেষটায় যেমন বলে গেলেন, ‘আমার মনে হয় (সেদিন) আমি আমার ইনিংসের গতি ভালোভাবেই বাড়াতে পেরেছিলাম। আবার যখন নিয়ন্ত্রণের দরকার ছিল আমি সেভাবেই ব্যাট করছিলাম। তবে দুর্ভাগ্য যে ভালো একটা বলে আউট হয়েছি। কিছু বলার নেই। অন্তত একটা জিনিস ভালো যে আমি তো আর উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসিনি।’

এই প্রসঙ্গের ইতি তাই আক্ষেপহীনভাবে। তামিমের ভাষায়, ‘এই কারণেই আমি খুশি।’

আজকের বাজার: সালি / ২২ জানুয়ারি ২০১৮