নিত্যব্যবহার্য হোমকেয়ার পণ্যের দাম বৃদ্ধি পর্যালোচনা করবে ভোক্তা অধিদপ্তর

কাপড় কাচার সাবান, সুগন্ধি সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, টুথপেস্ট, শ্যাম্পু, ক্লিনার জাতীয় হোমকেয়ার পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণ উদঘাটনে একটি তদন্ত দল গঠন করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তদন্ত দলের সদস্যরা কারখানা পরিদর্শন এবং কাঁচামালের দাম ও অন্যান্য খরচ পর্যালোচনা করবে।এদের সঙ্গে ট্যারিফ কমিশন,আইসিএমএবি এবং কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধিরাও থাকবেন। অনুসন্ধানে মূল্যবৃদ্ধির পেছনে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া গেলে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংস্থাটি।
বুধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার টিসিবি ভবনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিজ কার্যালয়ে নিত্যব্যবহার্য হোমকেয়ার পণ্য উৎপাদন ও বিপণন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে। পরে সংস্থাটির মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বাসস’কে এ সব তথ্য জানান।
তিনি বলেন,‘ সাবান, টুথপেস্ট,ডিটারজেন্ট পাউডারসহ অন্যান্য নিত্যব্যবহার্য হোমকেয়ার পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ পর্যালোচনা করতে আমরা সভা ডেকেছিলাম। সেখানে এসিআই, ইউনিলিভার, কল্লোল গ্রুপসহ অন্যান্য উৎপাদন ও বিপণন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা জানিয়েছেন-আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের দাম বৃদ্ধি এবং অন্যান্য উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, উৎপাদনকারিদের কথা আমরা শুনেছি।যে তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে, তারা এখন বড় বড় কারখানা পরিদর্শন এবং উৎপাদন খরচ পর্যালোচনা করবে। দাম বাড়ার কারণ এবং কোথাও বেশি দাম রাখা হচ্ছে কি-না সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে।
মহাপরিচালক বলেন, অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসা তথ্যের ভিত্তিতে সরকারের কাছে আমরা সুপারিশ করব। তবে দাম বৃদ্ধির পেছনে অযৌক্তিক কোন কিছু পাওয়া গেলে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, কাপড় কাচার সাবান, সুগন্ধি সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, টুথপেস্ট, শ্যাম্পু, ক্লিনারসহ নিত্যব্যবহার্য অধিকাংশ পণ্যের মূল্য গত এক বছরে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ বা তারও বেশি বেড়েছে। উৎপাদন ও বিপণনকারিরা এর পেছনে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি, দেশে ডলারের দাম বৃদ্ধি, জাহাজভাড়া ও পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়াকে দায়ি করছেন।