নিমপাতার যত গুণ

নিম এমন একটি গাছ  যার  প্রতিটি অংশই কাজে লাগে। রূপচর্চায়ও রয়েছে নিমগাছের বেশ কিছু অংশের ব্যবহার।  নিমপাতার স্বাদ তেতো হলেও  এর রয়েছে অনেক গুণ। ত্বকের নানা সমস্যার সমাধানে এটি ব্যবহার করা হয়। বিশেষত জীবাণুর কারণে হওয়া বিভিন্ন সমস্যায় দারুণ কার্যকর এ পাতা।  একজিমা, ফোড়ার মতো গোটা, ত্বকের আলসার, রিং ওয়ার্ম নামক ছত্রাকের সংক্রমণসহ নানা সমস্যায় নিমপাতা কার্যকর। এমনকি ত্বক পুড়ে যাওয়ার পরও যদি পোড়া অংশে জীবাণুর সংক্রমণ হয়, নিমপাতা উপকারী ভূমিকা রাখে।

ত্বকের সমস্যায়

ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে নিমপাতা বেটে লাগানো যায়। আবার নিমপাতা রোদে শুকিয়ে নেয়া যেতে পারে। রোদে রেখে একেবারে মচমচে হয়ে গেলে ব্লেন্ডারে গুঁড়া করে বয়ামে রেখে দেয়া যায়।  প্রয়োজনমতো সেখান থেকে খানিকটা নিমপাতা গুঁড়া নিয়ে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করা যেতে পারে।

সমপরিমাণ নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেটে ব্রণের ক্ষতস্থানে লাগালে ব্রণ কমে যাওয়ার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে।যেভাবেই ব্যবহার করা হোক না কেন, আক্রান্ত স্থান ছাড়া অন্য কোনো স্থানে নিমপাতা ব্যবহার করা উচিত নয়। যেমন: ব্রণের জন্য ব্যবহার করলে শুধু ব্রণের স্থানেই লাগাতে হবে।

ত্বকে নিমপাতা লাগানোর ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আক্রান্ত স্থান ভালো হয়ে যাওয়া পর্যন্ত নিয়মিত নিমপাতা লাগানো যায়।

মাথার ত্বকে ছোট গোটা

নিমপাতা বাটা লাগাতে পারেন আক্রান্ত স্থানে। চাইলে টকদইয়ের সঙ্গে মিশিয়েও নিমপাতা ব্যবহার করা যায়। এ ক্ষেত্রে ২ টেবিল চামচ টকদইয়ের সঙ্গে এক টেবিল চামচ নিমপাতা বাটা দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানের আশপাশের অন্য কোনো স্থানে নিমপাতা লাগানো উচিত নয়। এ ছাড়া নিমপাতার রস আর নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মাথার ত্বকের নির্দিষ্ট স্থানে মালিশ করা যেতে পারে।

নিমপাতা নিয়মিত?

দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত নিমপাতার ব্যবহার ত্বকের জন্য ভালো নয় । এটি বরং শরীর ও মাথার ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান হিসেবেই গ্রহণ করা উচিত। কোনো সমস্যা না থাকলে নিমপাতা বাটা ব্যবহার না করাই ভালো।

আজকের বাজার/লাবনী