‘নির্ধারিত সময়ের আগেই শিক্ষায় এমডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়ন হয়েছে’

নির্ধারিত সময়ের ৩ বছর আগেই শিক্ষাক্ষেত্রে এমডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছিলো বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এসডিজি লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। গত নয় বছরে সকলের জন্য শিক্ষার সুযোগ উন্মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। সকল শিশু এখন বিদ্যালয়ে আসছে।

ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে এসডিজি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা বিষয়ক জাতীয় সম্মেলনের যুগপৎ সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

এ যুগপৎ সেশনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এসডিজি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু সীমাবদ্ধতা ও ব্যর্থতা সত্ত্বেও শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নও হয়েছে। তবে শিক্ষার মান আরো উন্নত করতে হবে, যাতে আমাদের নতুন প্রজন্ম বিশ্বে নিজেদের স্থান করে নিতে পারে। সারাবিশ্বেই শিক্ষার মান উন্নয়নে চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের আধুনিক প্রযুক্তি, জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করা এবং একইসাথে ভাল মানুষ হিসেবে তৈরি করা।

নাহিদ বলেন, বাংলাদেশে নারী শিক্ষার অগ্রগতির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন একটি বড় সাফল্য। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় জেন্ডার সমতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষায় বিরাট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শতকরা ৪৩ ভাগ শিক্ষার্থী নারী। কারিগরি শিক্ষায় ১৫ ভাগ এনরোলমেন্ট সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২০ সালে তা শতকরা ২০ ভাগে উন্নীত করা সম্ভব হবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, সাধারণ শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষার মধ্যে সমন্বয় সম্ভব হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থায়ও সাধারণ শিক্ষার মতো গনিত, বিজ্ঞান, আইসিটি, রসায়নসহ সকল আধুনিক বিষয় পড়ানো হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে সরকার ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করেছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বেসরকারি সংস্থা এবং উন্নয়ন সহযোগীসহ সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

সেশনে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী। আলোচক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস-এর অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব এস এম গোলাম ফারুক।

সম্মেলনে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের এসডিজি বিষয়ক কর্মকান্ডের উপস্থাপনা তুলে ধরেন যথাক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আসিফ-উজ-জামান, সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব নাছির উদ্দিন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম।

এছাড়া এনজিও ও উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধিরাও উল্লেখিত বিষযগুলোর ওপর উপস্থাপনা পেশ করেন।

রাসেল/