নির্বাচনী প্রচারণায় উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বারোপ

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার। যাতে করে সকল রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণ ও স্বাধীনভাবে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারে।

মিলার বলেন, ‘নির্বাচন এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে সকল দলেরই স্বাধীনতা থাকতে হবে। তাদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ, প্রচার-প্রচারণা এবং শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশ করার স্বাধীনতা থাকা উচিৎ।’

গতকাল মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সাথে তার কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনবরত এবং প্রাণবন্ত বিতর্কের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটে।

মিলার আরও বলেন, ‘কে কোন দল বা মতাদর্শ সমর্থন করে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, সবাইকে সংঘাত পরিহার করে শান্তিপূর্ণ এবং দায়িত্বশীলভাবে আচরণ করতে হবে। সংঘাত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। এটা শুধু তারাই করে যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়।’

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করে না, তবে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমর্থন করে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি সকলকে বাংলাদেশি জনগণের কল্যাণে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে অংশ নিতে উৎসাহিত করছি।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্বাধীন, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন’ আয়োজনে যে ঘোষণা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছে।’

মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সারা বাংলাদেশে পৃথক নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল নিয়োগ দেবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সুইজার‌ল্যান্ডের সহযোগিতায় ১৫ হাজার স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) অধীনে কাজ করবে। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ